Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

কোন বয়সের পুরুষ এবং মহিলা পরকিয়াতে জড়ান এবং কেন ? কী বলছে গবেষণা !

কোন বয়সের পুরুষ এবং মহিলা পরকিয়াতে জড়ান এবং কেন ? কী বলছে গবেষণা ! 

extramarital affairs research, men age infidelity, women age infidelity, why people cheat, psychology of affairs, extramarital relationship study, infidelity statistics, men women cheating reasonsপরকীয়া গবেষণা, পুরুষ পরকীয়া বয়স, মহিলা পরকীয়া বয়স, কেন মানুষ পরকীয়া করে, পরকীয়া সম্পর্ক গবেষণা, extramarital affairs research, men women age extramarital, psychology of infidelity


সাম্প্রতিককালে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়ার মতো জটিল সামাজিক ঘটনা নিয়ে একাধিক গবেষণা হয়েছে। এই ধরনের সম্পর্কগুলি পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামোর ওপর যে গভীর প্রভাব ফেলে, তা আজ গবেষণার মূল কেন্দ্রে। এই প্রতিবেদনটি তেমনই একটি গবেষণার ফলস্বরূপ প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি, যেখানে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে কোন বয়সে বেশি এবং তার মূল কারণগুলো কী, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

বিভিন্ন সমাজতাত্ত্বিক ও মনস্তাত্ত্বিক গবেষণায় দেখা গেছে, নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার বয়স ও এর পেছনের মানসিক কারণগুলির মধ্যে স্পষ্ট ভিন্নতা রয়েছে। এই বিশ্লেষণগুলি সম্পর্কের চাহিদা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনগুলিকে তুলে ধরে।

১. পুরুষদের প্রবণতা: মধ্যজীবনের সঙ্কট (৪০-৫৫ বছর)

গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পুরুষদের মধ্যে সাধারণত ৪০ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে পরকীয়ায় জড়ানোর প্রবণতা সর্বাধিক। এর প্রধান কারণগুলি হলো:

ক) জীবন-মধ্যবর্তী সঙ্কট (Mid-life crisis): এই বয়সে পুরুষরা নিজেদের জীবনের লক্ষ্য ও অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং হারিয়ে যাওয়া যৌবনকে পুনরায় ফিরে পেতে চান।

খ) বিবাহিত জীবনে একঘেয়েমি: দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে আবেগ ও উদ্দীপনার অভাব বোধ করলে তারা নতুনত্বের সন্ধানে বাইরে সম্পর্ক খোঁজেন।

গ) আত্মবিশ্বাসের পরিবর্তন: কর্মজীবন বা ব্যক্তিগত জীবনে কোনো বড় পরিবর্তন বা নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিলে তারা অন্য সম্পর্কের মাধ্যমে নিজেদের গুরুত্ব ও সক্ষমতা প্রমাণ করতে চান।


২. নারীদের প্রবণতা: আবেগের শূন্যতা পূরণ (৩০-৪৫ বছর)

অন্যদিকে, নারীদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা কিছুটা কম বয়সে, সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে বেশি দেখা যায়। নারীরা যে কারণগুলির জন্য এই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, তার মূল ফোকাস আবেগের দিকে:

ক) আবেগের শূন্যতা বা সংযোগের অভাব: দাম্পত্য সঙ্গী থেকে পর্যাপ্ত মানসিক সংযোগ, যত্ন বা সমর্থন না পেলে নারীরা সেই আবেগের শূন্যতা পূরণের জন্য অন্য কারও কাছে যান।

খ) অবহেলিত বোধ করা: সন্তান ও পরিবারের দায়িত্ব পালনের ভিড়ে নিজেদের ব্যক্তিগত চাহিদা বা আবেগ উপেক্ষিত হচ্ছে মনে করলে তারা মানসিক নির্ভরতা খোঁজেন।

গ) স্বীকৃতির আকাঙ্ক্ষা: বিবাহিত জীবনে নিজেদের অবদান বা আবেগ যদি স্বীকৃত না হয়, তবে অন্য সম্পর্কের মাধ্যমে প্রশংসা ও গুরুত্ব পেতে চান।


এই বয়সভিত্তিক গবেষণাগুলি প্রমাণ করে যে পরকীয়ার মূল কারণ কেবল শারীরিক আকর্ষণ নয়, বরং মানসিক চাহিদা ও সম্পর্কের জটিলতা। পুরুষরা যেখানে জীবনে নিজেদের প্রতিষ্ঠার ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে সৃষ্ট অসন্তোষ থেকে মুক্তি চান, সেখানে নারীরা খুঁজছেন মানসিক সংযোগ ও আবেগের বৈধতা।

গবেষকরা মনে করেন, আধুনিক দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিয়মিত ও খোলামেলা যোগাযোগ বজায় রাখা এবং একে অপরের ব্যক্তিগত ও মানসিক চাহিদাগুলি বোঝা—এই প্রবণতা কমাতে সহায়ক হতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code