পর্যটন কেন্দ্র মূর্তি পর্যটকশূন্য, ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ
মূর্তি: নিজের নিস্তব্ধ আরণ্যক সৌন্দর্য নিয়ে পর্যটকদের ডেকে আনে উত্তরবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় স্থান মূর্তি। কাছেই গরুমারা ন্যাশনাল পার্ক, লাটাগুড়ি, টোটোপাড়া এবং বিখ্যাত মূর্তি নদী। জঙ্গল, নদী ও বন্যপ্রাণীর প্রতি টানে এখানে পর্যটকরা বারবার ছুটে আসেন। প্রতি বছর শীত পড়তেই এখানকার প্রশান্তির মূর্তিতে জনসমাগম দেখা যায়। বড়দিনের আগে শীতের এই মরশুমের দিকেই তাকিয়ে থাকেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা। কিন্তু এই বছর ছবিটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বড়দিনের ছুটি পড়তে চললেও পর্যটকশূন্য এই কেন্দ্র, যা দেখে যেন মূর্তির মনখারাপ। আর পর্যটক না আসায় চরম দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
বড়দিনের আগে এমন জনসমাগম না হওয়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল। তবে কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ উঠে এসেছে। উত্তরবঙ্গে কিছুদিন আগে হওয়া ভয়াবহ বন্যার কারণে কিছু ক্ষতি হয়েছে, আর বন্যার পরে আগের মতো বন্য সৌন্দর্য দেখা যাবে কিনা, সেই সংশয় হয়তো পর্যটকদের মনে কাজ করছে। যদিও কলকাতা থেকে আগত পর্যটক তপতী দত্তের মতে মূর্তির নৈসর্গিক দৃশ্য এখনও মুগ্ধ করার মতো। পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত না হলেও, তাঁর মতে, এ বছরও যে এসআইআর (SIR) বা বিশেষ ধরনের কাজের সঙ্গে বহু মানুষ যুক্ত, তার পরোক্ষ প্রভাবও জনসমাগম কমে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সুজিতা রায় তার দোকানে বসে আক্ষেপ করে জানালেন, এখনও লোক নেই। তিনি মনে করছেন, স্কুলের পরীক্ষা শেষ না হলে হয়তো পর্যটকের ভিড় বাড়বে না। মন্দার এই বাজারেও ব্যবসায়ীরা অবশ্য আশাবাদী, বড়দিনের আগেই মূর্তির এই মনখারাপ কেটে যাবে এবং পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হবে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊