'এখন আমি একাই ন্যায়ের জন্য লড়ব'-সেলিনা জেটলি
বলিউড অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি ও তাঁর স্বামী পিটার হ্যাগের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ও গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটিয়ে সেলিনা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, যেখানে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।
সেলিনা জেটলি, যিনি ২০০১ সালের ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া খেতাব জয়ী এবং ‘নো এন্ট্রি’ সহ একাধিক জনপ্রিয় ছবির অভিনেত্রী, সম্প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের সংকট নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছেন। তিনি মুম্বাইয়ের আদালতে তাঁর অস্ট্রেলিয়ান স্বামী পিটার হ্যাগের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা, মানসিক নির্যাতন, এবং অবহেলার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
সেলিনা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি একাকী এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে এসেছেন। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, পিটার তাঁকে বারবার মানসিকভাবে আঘাত করেছেন এবং তাঁদের সন্তানদের দেখভালের দায়িত্ব থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, এই নির্যাতনের ফলে তাঁর পেশাগত জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তিনি ₹৫০ কোটি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
অন্যদিকে, পিটার হ্যাগও অস্ট্রিয়ার আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন এবং সেলিনাকেই দাম্পত্য বিচ্ছেদের জন্য দায়ী করেছেন বলে তাঁর আইনজীবী দাবি করেছেন। এই দ্বৈত মামলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
সেলিনা তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে একটি আবেগঘন বার্তা দিয়ে জানান, “আমি একা লড়েছি, একা দাঁড়িয়ে থেকেছি, এবং এখন আমি একাই ন্যায়ের জন্য লড়ব।” তিনি তাঁর তিন সন্তান উইনস্টন, ভিরাজ এবং আর্থারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
এই ঘটনার পর বলিউড ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলিনার সাহসিকতার প্রশংসা করা হয়েছে। তবে একইসঙ্গে অনেকে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন, এবং সেলিনা জেটলি এই বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে তাঁর আইনজীবী একটি ১৯৯ পাতার পিটিশন আদালতে জমা দিয়েছেন, যেখানে নির্যাতনের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
এই ঘটনা শুধু একটি ব্যক্তিগত সংকট নয়, বরং বলিউডে নারীদের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার প্রসঙ্গকে আবারও সামনে এনেছে। সেলিনা জেটলির সাহসিকতা অনেক মহিলার জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে, যারা এখনও নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দ্বিধা করছেন।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊