Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

দিনহাটায় শ্বাশুড়ির বুদ্ধির জেরে NIA এর হাত থেকে পালালো বাংলাদেশি জামাই

দিনহাটায় শ্বাশুড়ির বুদ্ধির জেরে NIA এর হাত থেকে পালালো বাংলাদেশি জামাই

দিনহাটা,  NIA, বাংলাদেশি জামাই, আরিফ হোসেন,



দিনহাটা: জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)-এর একটি বিশেষ দল বুধবার ভোরে কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার গোবরা ছাড়া নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের নান্দিনা গ্রামে অভিযান চালালো। ২০২৩ সালের একটি পুরোনো মামলার সূত্র ধরে এই তল্লাশি চালানো হয় বলে সূত্রে খবর। এনআইএ-র এই আকস্মিক অভিযানকে ঘিরে থমথমে হয়ে উঠেছে প্রত্যন্ত এই গ্রাম।

জানা গেছে, বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ এনআইএ-র তিন সদস্যের একটি বিশেষ দল নান্দিনা গ্রামের বাসিন্দা আরিফ হোসেনের বাড়িতে পৌঁছায়। তদন্তকারী সংস্থা অভিযানের সুনির্দিষ্ট কারণ প্রকাশ্যে না আনলেও, এটি ২০২৩ সালের একটি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযানের সময় মূল অভিযুক্ত আরিফ হোসেন বাড়িতে ছিলেন। তিনি নান্দিনা গ্রামেই তাঁর শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন আরিফের শ্বশুর, শাশুড়ি, স্ত্রী ও শালা। শাশুড়ি NIA কে জানায় তারা আরিফকে চেনেন না। কথা শুনে চলেও যান অফিসাররা। সেই সুযোগে পেছনের দরজা দিয়ে বের করে দেন জামাইকে।

আরিফের শাশুড়ি সায়রা বিবি ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে জানান, "ভোরবেলা হঠাৎ কয়েকজন অফিসার এসে দরজায় কড়া নাড়ে। তারা আরিফের ছবি দেখিয়ে তার পরিচয় জানতে চায়। প্রথমে অস্বীকার করলেও, পরে আমি বলি—হ্যাঁ, ও আমার জামাই।" সায়রা বিবি আরও স্বীকার করেন যে পাঁচ বছর আগে তাঁর মেয়ের সঙ্গে আরিফের বিয়ে হয় এবং আরিফ হোসেন বাংলাদেশের নাগরিক।

এনআইএ টিম এরপর পুরো বাড়িটি তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালায়। তল্লাশি শেষে তারা আরিফ হোসেনের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন এবং দুইটি সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলে এই অভিযান। সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে এনআইএ-র দলটি এলাকা ছেড়ে চলে যায়।

তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) 465, 468, 471, 384 ধারায় এবং Foreigners Act-এর 14(a) ও 14(b) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ধারাগুলি সাধারণত জালিয়াতি, প্রতারণা, জবরদস্তি টাকা আদায় এবং বেআইনিভাবে বিদেশিদের ভারতে প্রবেশ ও থাকার সঙ্গে সম্পর্কিত।

দিনহাটার এই প্রত্যন্ত গ্রামে জাতীয় তদন্ত সংস্থার এই ধরনের তল্লাশি এলাকায় ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। ঘটনার পর থেকে গোটা গ্রাম জুড়ে চাপা আতঙ্ক ও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। এনআইএ ঠিক কী কারণে এবং কোন মামলার তদন্তে এই অভিযান চালালো, তা নিয়ে স্থানীয় মহলে জোর জল্পনা চলছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code