দিল্লি বিস্ফোরণ কান্ডের জেরে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন বাতিল, তদন্তে উঠে এল সন্ত্রাস-যোগ !
দিল্লির লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের বাইরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ভারতের শিক্ষা ও তদন্ত সংস্থাগুলি একাধিক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিজ (AIU) বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে হরিয়ানার ফরিদাবাদে অবস্থিত আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত এসেছে সন্ত্রাসবাদে জড়িত চিকিৎসক ও অধ্যাপকদের সংযোগ এবং ভুয়া স্বীকৃতি দাবির অভিযোগ সামনে আসার পর।
১৩ নভেম্বর দিল্লির লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের বাইরে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয় এবং বহু মানুষ আহত হন। তদন্তে উঠে আসে যে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন চিকিৎসক ও অধ্যাপক, যেমন ড. উমর উন নবী, ড. শহীদ, ড. নিসার-উল-হাসান, ড. মুজাম্মিল, এই বিস্ফোরণ পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তদন্তকারী সংস্থাগুলি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে “হোয়াইট কলার টেরর”-এর কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
AIU-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় “গুড স্ট্যান্ডিং”-এ নেই, তাই তার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি AIU-এর স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। AIU নির্দেশ দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের ওয়েবসাইট, বিজ্ঞাপন, ও সমস্ত প্রচার সামগ্রী থেকে AIU-এর নাম ও লোগো অবিলম্বে সরাতে হবে।
এছাড়াও জাতীয় মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি কাউন্সিল (NAAC) বিশ্ববিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ওয়েবসাইটে ভুয়া ‘A Grade’ স্বীকৃতির দাবি করে ছাত্র ও অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করেছে। NAAC জানিয়েছে, আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় কখনও মূল্যায়নের কোনও চক্রে অংশ নেয়নি, অথচ ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে যে তিনটি প্রতিষ্ঠান ‘A Grade’ পেয়েছে। NAAC এই দাবিকে “প্রতারণামূলক ও বিভ্রান্তিকর” বলে অভিহিত করেছে।
একসময় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার জন্য পরিচিত আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় এখন সন্ত্রাস ও ভুয়া তথ্যের অভিযোগে জর্জরিত। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, ছাত্র ভর্তি ও গবেষণা কার্যক্রমে বড় ধাক্কা লাগতে পারে।
এই ঘটনার পর শিক্ষা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা যাচাইয়ের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে সন্ত্রাসের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করার প্রবণতা রুখতে কেন্দ্রীয় নীতিমালায় পরিবর্তন আনা জরুরি।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊