Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

রাজভবন থেকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক, রাজ্যপালের পালটা পদক্ষেপে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি

রাজভবন থেকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক, রাজ্যপালের পালটা পদক্ষেপে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি

CV Ananda Bose, Raj Bhavan controversy, Kalyan Banerjee statement, Bengal politics 2025, Raj Bhavan weapon supply, Trinamool vs Governor, West Bengal political clash, Raj Bhavan open for public, shoot at sight Kolkata, Kolkata police Raj Bhavan, Awami League shutdown, Raj Bhavan inspection, Lok Sabha speaker complaint, Raj Bhavan press release, Bengal governor BJP link, SIR election method, Bihar election impact Bengal, Raj Bhavan security alert, CV Ananda Bose response, Kalyan Banerjee legal action


২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নেতৃত্বাধীন রাজভবন থেকে বন্দুক ও বোমা সরবরাহ করা হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের হাতে, যাতে তারা তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালাতে পারে। এই মন্তব্যের পর রাজভবনের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের জন্য রাজভবনের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে।

শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার এক জনসভায় রাজ্যপালকে “বিজেপির চাকরবাকর” বলে অভিহিত করেন এবং অভিযোগ করেন যে রাজভবনে অপরাধীদের আশ্রয় দিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল রাজভবনে অপরাধীদের রাখছেন, তাদের বন্দুক-বোমা দিচ্ছেন, বলছেন মেরে এসো তৃণমূলের লোকেদের।”

এই মন্তব্যের পরেই রাজভবনের তরফে রাতেই একটি বিবৃতি জারি করা হয়। জানানো হয়, রবিবার সকাল ৫টা থেকে রাজভবনের সিংহদ্বার খুলে দেওয়া হবে সাংসদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের ১০০ জন প্রতিনিধির জন্য। তাঁরা সরেজমিনে এসে দেখতে পারবেন আদৌ কোনও অস্ত্র বা গোলাবারুদ মজুত আছে কিনা। রাজভবনের দাবি, কল্যাণের অভিযোগ ভিত্তিহীন হলে তাঁকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, তিনি রাজভবনেই থাকবেন এবং কোনও নিরাপদ স্থানে সরে যাবেন না। যদিও রাজভবনের তরফে তাঁকে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিশকে ঘিরেও প্রশ্ন উঠেছে—যদি অস্ত্র মজুত থাকে, তাহলে পুলিশ কী করছে? অস্ত্র আনার অনুমতি কে দিয়েছে?

এই বিতর্কের আগে রাজ্যপাল বিহার নির্বাচনের ফলাফলের পর এসআইআর (Special Intensive Revision) পদ্ধতির প্রশংসা করেন এবং বলেন, বাংলাতেও এই পদ্ধতি গ্রহণ করলে নির্বাচন আরও সুষ্ঠু হবে। এই মন্তব্যকেও রাজনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা করে তৃণমূলের তরফে পালটা আক্রমণ করা হয়।

রাজভবনের এই পদক্ষেপকে ‘দর্শনীয় স্বচ্ছতা’ বলে অভিহিত করেছেন অনেকে, আবার তৃণমূলের একাংশ এটিকে ‘নাটকীয় প্রতিক্রিয়া’ বলেও ব্যাখ্যা করছে। রাজভবনের তরফে লোকসভার স্পিকারের কাছে সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুরোধ জানানো হবে বলেও জানা গেছে।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code