এক-দুটি নয়, প্রাক্তন শিক্ষকের ঠাকুরঘরে সযত্নে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে অন্তত ৪৫টি গোপাল!
শিলিগুড়ি, হাকিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুকুমার ভাদুড়ীর বাড়িতে ঢুকলেই দর্শনার্থীরা প্রথমে বিস্মিত হন। কারণ সাধারণ পরিবারের মতো একটি বা দুটি গোপালমূর্তি নয় তাঁর ঠাকুরঘরজুড়ে সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে পয়তাল্লিশটি গোপাল ঠাকুর।
সুকুমার ভাদুড়ী পেশায় ছিলেন একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। অবসর নেওয়ার পর তাঁর জীবনের প্রধান সাধনা হয়ে উঠেছে গোপাল। তিনি জানান, গোপালের মূর্তির প্রতি এই আকর্ষণ বহুদিনের। কখনও রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে, আবার কখনও রাজ্যের বাইরে ভ্রমণে গিয়ে পছন্দসই মূর্তি দেখলে বাড়ি ফিরেছেন নতুন গোপাল নিয়ে। এই সংগ্রহে স্ত্রী অরুণা ভাদুড়ীর সমান ভূমিকা রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর যৌথ আগ্রহেই ঠাকুরঘরে আজ গড়ে উঠেছে অনন্য এক সংগ্রহশালা।
প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয় পূজার প্রস্তুতি। ৪৫টি গোপালকে নিয়মিত স্নান, সেজে তোলা, ধূপ-দীপ আরতী, নানা রকম মিষ্টির ভোগ—সবই চলে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও ভালবাসা দিয়ে। প্রতিটি মূর্তির সামনে আলাদা করে ভোগ সাজানো হয়, যাতে কারও প্রতি অবহেলা না থাকে। চন্দন, ফুল, তুলসীপাতা, আর নানান পদের মিষ্টান্নে ঠাকুরঘর ভরে ওঠে ভোর থেকেই।
এভাবেই শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার এই বাড়িটি আজ ভক্তিভরে ও রঙিন গোপালের হাসিতে ভরে ওঠে প্রতিদিন। ৪৫টি গোপালকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে এক অনন্য ভক্তি-সংস্কৃতি, যা এলাকার মানুষের কাছেও আজ গর্বের বিষয়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊