Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের বাদ, তালেবান নীতির ছায়ায় দিল্লিতে বিতর্ক

আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের বাদ, তালেবান নীতির ছায়ায় দিল্লিতে বিতর্ক

Afghan foreign minister, women journalists excluded, press conference controversy, Taliban India visit, Amir Khan Muttaqi, Priyanka Gandhi reaction, Rahul Gandhi statement, BJP women rights, India Afghanistan relations, Taliban women policy, journalist discrimination, Delhi press meet, Afghan embassy India, women rights controversy, Modi government criticism
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী - ছবি: এক্স/FMMuttaqi

আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির ভারত সফর ঘিরে নতুন বিতর্কের জন্ম হয়েছে। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের অন্তর্ভুক্ত না করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দল এই ঘটনাকে নারীদের প্রতি অপমানজনক আচরণ বলে অভিহিত করেছে এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন ও আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর দায়িত্ব ছিল দিল্লিতে অবস্থানরত মুম্বাইয়ের আফগান কনস্যুলেট জেনারেলের। ভারত সরকার এই সম্মেলনের পরিকল্পনা বা অংশগ্রহণে কোনও ভূমিকা রাখেনি। মন্ত্রণালয় আরও ব্যাখ্যা করেছে, আফগান দূতাবাসের কার্যক্রম ভারত সরকারের এখতিয়ারের বাইরে।

তবে বাস্তব চিত্রে দেখা যায়, সংবাদ সম্মেলনে কোনও নারী সাংবাদিককে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, কিছু নারী সাংবাদিককে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। তালেবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন এই ঘটনাকে "অনিচ্ছাকৃত" বলে দাবি করেছেন। তাঁর ভাষায়, "পাসের সংখ্যা সীমিত ছিল, কেউ পেয়েছে, কেউ পায়নি। এটি প্রযুক্তিগত সমস্যা, নীতিগত নয়।"

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, "মহিলা সাংবাদিকদের বাদ দেওয়ার অনুমতি দিয়ে আপনি ভারতের প্রতিটি মহিলাকে বলছেন যে আপনি তাদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য দুর্বল।" প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, "নারীর ক্ষমতায়নের স্লোগান যদি বাস্তব হয়, তাহলে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সরকারকে অবস্থান নিতে হবে।"

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের অধীনে নারীদের অধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ রয়েছে। জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন সংস্থা তালেবান সরকারের নারী-বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। মুত্তাকি নিজেও সংবাদ সম্মেলনে নারীদের দুর্দশা নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন, "প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইন ও রীতিনীতি রয়েছে, সেগুলিকে সম্মান করা উচিত।"

এই ঘটনা শুধু কূটনৈতিক নয়, বরং নারীর অধিকার ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতার প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে। ভারতীয় সরকার যদিও নিজেকে এই ঘটনার বাইরে রাখার চেষ্টা করেছে, তবুও বিরোধী দলগুলোর দাবি, দেশের মাটিতে এমন বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code