WBSSC 2nd SLST-তে অভিজ্ঞতার নম্বর, আন্দোলনের পথে পার্ট-টাইম শিক্ষকরা
কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ২য় SLST পরীক্ষার আগে থেকেই, ম্যানেজিং কমিটির অধীনে নিযুক্ত উচ্চ মাধ্যমিকের পার্ট-টাইম শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার ১০ নম্বর প্রদানের দাবিতে সরব হয়েছে নর্থ বেঙ্গল পার্ট টাইম টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সম্প্রতি সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল SSC-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে আবারও দেখা করে তাদের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সুশান্ত সরকার চেয়ারম্যানকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা নিযুক্ত এবং স্কুল ফান্ডের মাধ্যমে বেতনপ্রাপ্ত উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের যে সমস্ত পার্ট-টাইম শিক্ষকদের নাম উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলের অনলাইন পোর্টালে রয়েছে, তাঁদের শিক্ষকতা ও পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর দিতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই দাবি না মানা হলে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন, যার দায় সরকার ও SSC-র উপর বর্তাবে।
সুশান্ত সরকার জানিয়েছেন, তিনি চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করেন, যদি এই শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা না-ই থাকে, তাহলে তাঁরা কীভাবে উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখেন? তিনি বলেন, অন্তত ২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ছাড়া কোনো শিক্ষককে উচ্চ মাধ্যমিকের ফাইনাল পরীক্ষার খাতা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় না। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে, ম্যানেজিং কমিটির অধীনে নিযুক্ত শিক্ষকদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তাঁদেরও ১০ নম্বর প্রাপ্য।
তিনি আরও যুক্তি দেন, যেখানে স্থায়ী শিক্ষক, ডিআই অ্যাপ্রুভড পার্ট-টাইম শিক্ষক, চুক্তিভিত্তিক এইচএস পার্ট-টাইম শিক্ষক এবং চাকরিহারা শিক্ষকরা অভিজ্ঞতার ১০ নম্বর পাচ্ছেন, সেখানে ৫-১০ বছর ধরে শিক্ষকতা করা এবং পরীক্ষক হিসেবে খাতা মূল্যায়ন করা সত্ত্বেও ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদিত পার্ট-টাইম শিক্ষকরা কেন এই নম্বর থেকে বঞ্চিত হবেন?
সুশান্ত সরকার জানিয়েছেন এর জবাবে SSC চেয়ারম্যান জানান, 'গ্যাজেট নোটিফিকেশনে 'চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক' কথাটি থাকলেও, কোন ধরনের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরা নম্বর পাবেন, সে বিষয়ে শিক্ষা দপ্তর থেকে কোনো স্পষ্ট নির্দেশিকা আসেনি। তিনি বলেন, SSC শুধুমাত্র নিয়োগ সংস্থা এবং নিয়োগের নিয়মকানুন তৈরি করে স্কুল এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট। তাই এই বিষয়ে শিক্ষা দপ্তরকে জানানো হয়েছে, কিন্তু সেখান থেকে এখনও কোনো স্পষ্টীকরণ আসেনি।'
এই পরিস্থিতিতে নর্থ বেঙ্গল পার্ট টাইম টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সহ-সভাপতি সুমিত ব্যানার্জী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তাঁরা সরকার ও SSC-র এই দ্বিমুখী আচরণ মেনে নেবেন না। অভিজ্ঞতার নম্বর প্রদানে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে মামলা করার জন্য আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন এবং বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
For Latest Update : Join Whatsapp Channel
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊