Waqf Law: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের উপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ জারি করল না সুপ্রিম কোর্ট, জেলাশাসকদের ক্ষমতায় স্থগিতাদেশ
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের উপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ জারি করল না সুপ্রিম কোর্ট। ওই আইনের সব ধারা সম্পূর্ণ ভাবে স্থগিত করার কোনও যুক্তি নেই বলেই সোমবার জানায় আদালত। পাশাপাশি আইনের একাধিক ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেছে আদালত। ওয়াকফ আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। গত ২২ মে ওই মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। আজ এই মামলায় রায় জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, পুরো ওয়াকফ সংশোধনী আইন একসাথে স্থগিত করার মতো এখনই কোনও যুক্তিসম্মত কারণ নেই। অর্থাৎ, গোটা আইন বাতিল বা স্থগিত হচ্ছে না। তবে, কিছু নির্দিষ্ট ধারার উপর আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার করা সম্ভব হয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ধারাটি স্থগিত করা হয়েছে তা হলো ধারা ৩(আর)। এই ধারায় বলা হয়েছিল, কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ (ধর্মীয় দান) হিসেবে গণ্য হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলাশাসক। আদালত মনে করেছে, এই ক্ষমতা ব্যবহারে অনিয়ম বা একতরফা সিদ্ধান্তের ঝুঁকি রয়েছে। তাই এই ধারা আপাতত স্থগিত থাকবে।
এছাড়া, সংশোধিত আইনে বলা হয়েছিল, কেউ যদি কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ করতে চান, তবে তাকে অবশ্যই অন্তত পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্ম পালন করতে হবে। এই শর্তকেও চ্যালেঞ্জ করা হয় আদালতে। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এমন নিয়মে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বৈষম্য তৈরি হতে পারে, তাই এই ধারার কার্যকারিতাও আপাতত বন্ধ রাখা হবে।
আরও একটি বিতর্কিত বিষয় ছিল ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিমদের অন্তর্ভুক্তি। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছিল, বোর্ডে অ-মুসলিম সদস্য রাখা যাবে। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে আপত্তি তোলে না, তবে সংখ্যা সীমিত করে দেয়। রায়ে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডে সর্বোচ্চ চারজন এবং রাজ্য বোর্ডে সর্বোচ্চ তিনজন অ-মুসলিম সদস্য থাকতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্ট পুরো আইন বাতিল করেনি, বরং কিছু বিতর্কিত ও আপত্তিকর ধারা নিয়ে আপাতত কার্যকরতা বন্ধ রেখেছে। ভবিষ্যতে মূল মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানিতে এই বিষয়গুলির বিস্তারিত বিচার হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊