রাজ্যে সরকারের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে এবার বিডিও কার্যালয়ে সোচ্চার খোদ তৃণমুল
রাজ্য সরকারের বরাদ্দ করা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিডিও (BDO) কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) SC, OBC সেল। একশো দিনের কাজের উপভোক্তাদের চিহ্নিত করার জন্য নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মীদের পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP) এবং সিপিআইএম (CPIM)।
কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেন যে রাজ্য সরকার এই টাকা দেবে। সেই অনুযায়ী, প্রকৃত উপভোক্তাদের চিহ্নিত করার জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে শিবির আয়োজন করা হয়। এই শিবিরের জন্য কর্মীদের পারিশ্রমিক বাবদ প্রতিটি পঞ্চায়েতকে ২ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়।
তৃণমূল এসসি, ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস অভিযোগ করেন, শিবিরগুলোতে কাজ করা অস্থায়ী কর্মীরা এখনও তাদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক পাননি। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার টাকা বরাদ্দ করলেও সেই টাকা কোথায় গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্রয়োজনে তিনি এ বিষয়ে আদালতে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
বিরোধী দলের প্রতিক্রিয়া
- বিজেপি নেতা শ্যাম প্রসাদ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা আত্মসাৎ করার পর এবার নিজেদের দলের পরিচালিত রাজ্য সরকারের টাকাও তৃণমূল মেরে দিচ্ছে।
- সিপিআইএম-এর জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক পীযুষ মিশ্র কটাক্ষ করে বলেন যে আন্দোলনকারী নেতার ভাগ কম পড়েছে, তাই এই বিক্ষোভ। তিনি আরও বলেন, শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরাই বিভিন্ন প্রকল্পের সামগ্রীর কোম্পানিগুলোর মালিক।
বরোপেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন অস্থায়ী কর্মী রতন রায় জানান, একশো দিনের কাজের উপভোক্তাদের খুঁজে বের করার জন্য তিনি কাজ করলেও এখনও পর্যন্ত কোনও পারিশ্রমিক পাননি।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিডিও মিহির কর্মকার অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানান যে, কর্মীরা প্রাপ্য টাকা পেয়ে গেছেন এবং অডিট রিপোর্টও ঠিক আছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊