Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

বয়কট অতীত! চিনকে সঙ্গে নিয়ে বৈদ্যুতিক সামগ্রী তৈরি করবে ভারত?

ভারত–চীন সম্পর্কের উষ্ণতা, ইলেকট্রনিক্স শিল্পে বাড়ছে সম্ভাবনা

Ind-china meet


ভারত ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন করে উষ্ণতা দেখা দিয়েছে। ভারত-চিন নেতিবাচক সম্পর্কের আবহে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছিল। তবে চিনের তিয়ানজিন শহরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শি জিনপিঙের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বৈদ্যুতিক সামগ্রী উৎপাদনে জোয়ার আসবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয় উৎপাদকেরা। সাম্প্রতিক শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনে দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের আলোচনার পর ইঙ্গিত মিলেছে যে, অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় হতে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে ভারতের ইলেকট্রনিক্স শিল্পে।




চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে ভারতীয় ইলেকট্রনিক্স প্রস্তুতকারীরা সহজেই কাঁচামাল ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারবেন। এতে সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা যেমন বাড়বে, তেমনি খরচও কমবে। শিল্পমহলের অনুমান, বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ (FDI) এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়লে ভারতের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন ক্ষমতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে পারে।




ইতিমধ্যেই কয়েকটি ভারতীয় সংস্থা চীনা সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিমের সুবিধা এবং চীনা বাজারের অংশীদারিত্ব মিলিয়ে আগামী দিনে ভারতীয় ইলেকট্রনিক্স খাত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।




অর্থনীতিবিদদের মতে, এই সহযোগিতা শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক্সে সীমাবদ্ধ থাকবে না। কৃষি ও অবকাঠামোতেও বিরল খনিজ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের আমদানি সহজ হবে। সব মিলিয়ে, ভারত–চীন সম্পর্কের নতুন সমীকরণ দেশীয় শিল্পকে দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা এনে দিতে পারে।




সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র বৈঠকে যোগ দিতে রবিবার চিন গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বৈঠকের ফাঁকেই প্রেসিডেন্ট জিনপিঙের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করার বিষয়ে সহমত হন মোদী এবং জিনপিং দু’জনেই। অনেকেই মনে করছেন ট্রাম্পের শুল্কনীতিই সংঘাত ভুলে কাছাকাছি আসতে বাধ্য করেছে ভারত এবং চিনকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code