প্রজনন হার রেকর্ড পতনে: ১.১৫% হারে কমেছে জন্মহার, উদ্বেগে গোটা দেশ
জাপানে প্রজনন হার ২০২৫ সালে রেকর্ড পরিমাণে কমে গিয়েছে, যা দেশটির জনসংখ্যাগত সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর প্রজনন হার ১.১৫% হারে হ্রাস পেয়েছে, যা ১৮৯৯ সাল থেকে শুরু হওয়া রেকর্ডের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই পতনের ফলে প্রায় ৭ লক্ষ শিশুর কম জন্ম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রধান তথ্য ও বিশ্লেষণ:
প্রজনন হার:
জাপানের মোট প্রজনন হার বর্তমানে ১.15 শতাংশে নেমে এসেছে, যা জনসংখ্যা পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২.১-এর অনেক নিচে।
এই হার পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম, এবং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি জনসংখ্যা সংকটের ইঙ্গিত বহন করে।
জনসংখ্যা হ্রাস:
Worldometer-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে জাপানের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২.৩ কোটি।
বিগত এক দশকে দেশটির জনসংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমছে, যার অন্যতম প্রধান কারণ কম জন্মহার।
বিয়ের সংখ্যা হ্রাস:
জন্মহারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের সংখ্যাও কমছে, যা পরিবার গঠনের হারকে প্রভাবিত করছে।
অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, কর্মজীবনের চাপ, এবং সামাজিক পরিবর্তন এই প্রবণতার পেছনে ভূমিকা রাখছে।
সামাজিক প্রভাব:
শিশু জন্মের হার কমে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে কর্মক্ষম জনসংখ্যার ঘাটতি, বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীর ভার, এবং অর্থনৈতিক স্থবিরতা দেখা দিতে পারে।
সরকারের তরফে বিভিন্ন নীতিগত পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা এখনও কার্যকর ফল দিচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞ মতামত:
জনসংখ্যা গবেষকরা মনে করছেন, এই হার যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে জাপানের সামাজিক কাঠামো ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তারা আরও বলছেন, পরিবার গঠনের জন্য সহায়ক পরিবেশ, কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য, এবং শিশু লালনের জন্য সরকারি সহায়তা বাড়ানো জরুরি।
জাপানে প্রজনন হারের এই রেকর্ড পতন শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, বরং একটি গভীর সামাজিক সংকটের প্রতিচ্ছবি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊