দুর্গাপূজার আগে বাঙালির পাতে ফের বাংলাদেশের ইলিশ
ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২০২৫: দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবারও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উৎসবের মরশুমে বাঙালির ভোজনরসিকতাকে সম্মান জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার ১,২০০ টন ইলিশ রপ্তানির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নির্দেশিকায় এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
রপ্তানির শর্ত ও আইনি বাধ্যবাধকতা
রপ্তানি কার্যক্রমকে স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিক রাখতে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ধরা হয়েছে ১২.৫০ মার্কিন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ₹১,০৪৮। যেসব ব্যবসায়ী এই রপ্তানি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে আগ্রহী, তাদের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে:
- আপডেটেড ট্রেড লাইসেন্স
- ইআরসি সার্টিফিকেট (ERC Certificate)
- আয়কর ও ভ্যাট সনদ
- সেলের কন্ট্রাক্ট
- বাংলাদেশ মৎস্য মন্ত্রকের লাইসেন্স
'GI' ইলিশের বিশেষত্ব ও পূর্ববর্তী রেকর্ড
উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে ইলিশ মাছ বাংলাদেশে জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন (GI) পণ্য হিসেবে স্বীকৃত। এই স্বীকৃতি ইলিশের উৎপত্তিস্থল এবং অনন্য গুণগত মানকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এর আগে, গত বছর দুর্গাপূজার সময় রেকর্ড পরিমাণ ৩,০০০ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছিল, যা দুই দেশের বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে।
সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মেলবন্ধন
এই রপ্তানি সিদ্ধান্ত কেবল অর্থনৈতিক লেনদেন নয়, বরং এটি দুই বাংলার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের এক অনন্য উদাহরণ। দুর্গাপূজার সময় ইলিশ ছাড়া বাঙালির উৎসব যেন অপূর্ণ থেকে যায়। এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে প্রতি বছরই বাংলাদেশ সরকার সীমিত পরিসরে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে থাকে। এবারের ১,২০০ টনের কোটাও সেই সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানকে আরও জোরদার করবে বলে আশা করা যায়।
এই উদ্যোগের ফলে ভারতে ইলিশের বাজার স্থিতিশীল থাকবে এবং উৎসবের এই বিশেষ সময়ে চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে। পুরো রপ্তানি প্রক্রিয়াটি সুশৃঙ্খল রাখতে নথিপত্রের এই কঠোর শর্তগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊