পুজোর আগেই পর্যটকদের জন্য সুখবর-খুলছে গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজ সেতু
পুজোর আগে ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এল স্বস্তির খবর। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই খুলে দেওয়া হচ্ছে গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজের সেতুর রাস্তা। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অগাস্টের শেষ সপ্তাহেই সেতুটি চালু করে দেওয়া হবে। ফলে ডুয়ার্স ও পাহাড় ভ্রমণ আরও সহজ ও সময়সাশ্রয়ী হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা শাসক শামা পারভীন জানান, “সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের সুবিধার কথা ভেবেই সেতুটি প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন আগে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” যদিও ভারী মালবাহী যান চলাচলের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে ব্যক্তিগত গাড়ি ও পর্যটনযান চলাচলের অনুমতি মিলবে বলেই প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।
গত কয়েক মাস ধরে সেতু মেরামতের কাজ চলায় গজলডোবা ব্যারেজ বন্ধ ছিল। এর ফলে গজলডোবা থেকে লাটাগুড়ি হয়ে ডুয়ার্স যাওয়ার সহজ পথটি বন্ধ হয়ে যায়। পর্যটকদের ঘুরপথে যেতে হওয়ায় সময় ও খরচ দুটোই বেড়েছিল। পাশাপাশি, গজলডোবা ও ডুয়ার্স অঞ্চলের হোটেল, রিসর্ট ও হোমস্টে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। বুকিং কমে যাওয়ায় পর্যটন শিল্পে ভাটা পড়ে।
তবে সেতু খুলে গেলে পরিস্থিতি বদলাবে বলেই আশাবাদী স্থানীয়রা। গজলডোবার এক হোটেল মালিক বলেন, “সেতু বন্ধ থাকার কারণে বুকিং কমে গিয়েছিল। পুজোর আগে সেতু খুলে গেলে আবারও ভিড় বাড়বে, ব্যবসাও ঘুরে দাঁড়াবে।” সাধারণ মানুষও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন, কারণ জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির মধ্যে যোগাযোগ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
পুজোর আগে এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে পর্যটনপ্রেমীদের কাছে এক বড় উপহার। স্থানীয় মহল মনে করছে, ব্যারেজ সেতু খুলে যাওয়ার পর আবারও প্রাণ ফিরে পাবে গজলডোবা ও ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসা। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ ও সময়ের আগেই কাজ সম্পন্ন হওয়া নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
FAQ -পাঠকের সম্ভাব্য প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: তিস্তা ব্যারেজের সেতু কবে খুলছে? উত্তর: জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অগাস্টের শেষ সপ্তাহেই সেতুটি খুলে দেওয়া হবে।
প্রশ্ন ২: ভারী মালবাহী গাড়ি কি চলবে এই সেতু দিয়ে? উত্তর: আপাতত ভারী ডাম্পার বা মালবাহী যান চলাচলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রশ্ন ৩: সেতু বন্ধ থাকার ফলে কী প্রভাব পড়েছিল? উত্তর: পর্যটকদের ঘুরপথে যেতে হওয়ায় সময় ও খরচ বেড়েছিল, এবং গজলডোবা ও ডুয়ার্স অঞ্চলের হোটেল-রিসর্ট ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছিল।
প্রশ্ন ৪: সেতু খুললে কী সুবিধা হবে? উত্তর: জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির সংযোগ সহজ হবে, ডুয়ার্সে যাওয়া আরও দ্রুত ও সুবিধাজনক হবে, এবং পর্যটন ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াবে
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊