DA Case : ‘কিছু টাকা অন্তত দিন’ বলল সুপ্রিম কোর্ট, পাল্টা রাজ্যের দাবি - ‘১০০ দিনের টাকাও পাই না’
নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা (Dearness Allowance) সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে তুমুল সওয়াল-জবাব হয়। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু-র বেঞ্চে এই মামলায় রাজ্যের আর্থিক সীমাবদ্ধতা এবং ডিএ-র আইনি অধিকার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
আদালতের প্রশ্ন:
ডিএ কি মৌলিক অধিকার? শুনানির শুরুতেই বিচারপতিরা মহার্ঘভাতা (Dearness Allowance) কি মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কলকাতা হাইকোর্ট এর আগে ডিএ-কে মৌলিক অধিকার হিসেবে ইঙ্গিত দিয়েছিল, তবে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। বিচারপতি সঞ্জয় করোল বলেন, "এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে আমাদের মনেও সন্দেহ আছে।" এর উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, ডিএ কোনো মৌলিক বা আইনি অধিকার নয়। রাজ্য সরকার তার নিজস্ব অর্থনৈতিক ক্ষমতা অনুযায়ী ডিএ-র হার নির্ধারণ করতে পারে। অন্যদিকে, কর্মীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন যে ডিএ মৌলিক অধিকার না হলেও, এটি কর্মীদের আইনি অধিকার।
‘কিছু টাকা অন্তত দিন’
মধ্যাহ্ন বিরতির পর সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলে, "ওঁরা তো আপনাদেরই কর্মী! কোথাও পালিয়ে যাচ্ছেন না। রাজ্য সরকারকে বলুন, কিছু টাকা হলেও দিন।" এর পাল্টা জবাবে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল সংবিধানকে উদ্ধৃত করে বলেন, "বাজারদরের ভিত্তিতে ডিএ দিতেই হবে, এমন কোথাও বলা নেই।" তিনি আরও জানান, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দেওয়া ডিএ-র জন্য রাজ্যকে ঋণ নিতে হবে, যা RBI থেকে ধার করে বিল পাস করিয়ে দিতে হবে।
রাজ্যের পাল্টা যুক্তি:
কেন্দ্রের বকেয়া না পাওয়ার অভিযোগ আদালতে রাজ্যের তরফে বলা হয় যে, ডিএ (Dearness Allowance) দেওয়ার জন্য তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা বাস্তবসম্মত নয়। রাজ্য জানায়, "এভাবে টাকা দিতে পারি না আমরা। ১০০ দিনের কাজের টাকাও পাই না আমরা। সেই টাকাও আমাদের নিজেদের দিতে হচ্ছে। বাজারদরের কথা বলে এভাবে রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া যায় না।" রাজ্যের আইনজীবী আরও দাবি করেন যে, দেশের বহু রাজ্যেও কেন্দ্রের সমতুল্য ডিএ দেওয়া হয় না এবং রাজ্য সরকার নিজেদের সাধ্যমতো ডিএ দিচ্ছে।
সময়সীমা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গত ১৬ মে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। সেই সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পর রাজ্য আরও ছয় মাসের সময় চেয়েছিল। সেই আবেদন নিয়েই শুনানি চলছে। বর্তমানে, রাজ্য সরকার আদালতে ডিএ-র জন্য নির্ধারিত টাকা জমা রাখতে রাজি বলে জানিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি কবে হবে, তা এখনও জানা যায়নি।
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊