Pakistan Floods: পাকিস্তানে ভয়াবহ বর্ষা,মৃত্যু ২৯৯, বিপর্যস্ত জনজীবন
পাকিস্তানে চলমান মৌসুমি বর্ষা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিপাত এখনও থামেনি, এবং এর ফলে দেশজুড়ে দেখা দিয়েছে চরম দুর্যোগ। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (NDMA) জানিয়েছে, এই মৌসুমে ২৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৭১৫ জন আহত হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১৪০ শিশু, ১০২ পুরুষ এবং ৫৭ নারী। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ২৩৯ শিশু, ২০৪ নারী এবং ২৭২ পুরুষ।
এই অতিবৃষ্টির ফলে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধস এবং অবকাঠামোগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১,৬৭৬টি বাড়ি, যার মধ্যে ৫৬২টি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৪২৮টি গবাদি পশু। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত ২,৮৮০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিতরণ করা হয়েছে ১৩,৪৬৬টি ত্রাণ সামগ্রী, যার মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, খাদ্যপ্যাক, হাইজিন কিট, রান্নার সামগ্রী ও ডিওয়াটারিং পাম্প।
পাকিস্তান আবহাওয়া দফতরের (PMD) পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪ থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখাওয়া, ইসলামাবাদ এবং গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। সিন্ধ ও বালুচিস্তানে তুলনামূলকভাবে কম বৃষ্টিপাত হলেও কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এই ধরনের দুর্যোগ আরও ঘন ঘন ঘটতে পারে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে, যখন দেশের এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল পানির নিচে চলে গিয়েছিল। দুর্বল নিষ্কাশন ব্যবস্থা, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং অব্যবস্থাপনার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে NDMA ও PDMA (প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ) স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত আপডেট নিয়মিতভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊