কৌশিকী অমাবস্যায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নিরাপত্তায় জাগ্রত ছিন্নমস্তা মায়ের পূজা
সাহেবগঞ্জ, কোচবিহার: কৌশিকী অমাবস্যার পূণ্য তিথিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের ভেতরে মহাশ্মশানে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী ছিন্নমস্তা মায়ের পূজা। কোচবিহারের সাহেবগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত এই মন্দিরে প্রতি বছরের মতো এবারও কড়া নিরাপত্তা ও ভক্তদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পূজা সম্পন্ন হয়। এই বছর পূজোটি ৪৭তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।
শুক্রবার অমাবস্যার পূর্ণ তিথিতে সন্ধ্যা থেকেই সীমান্ত এলাকায় ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশের কঠোর নজরদারিতে কাঁটাতার পেরিয়ে ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করেন। এই পূজার বিশেষত্ব হলো, সাধারণ মানুষ পাসপোর্ট ছাড়াই সাময়িকভাবে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে মায়ের পূজায় অংশ নিতে পারেন, যা এই উৎসবকে এক অনন্য মাত্রা দিয়েছে।
পূজা উপলক্ষে বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের যৌথ নজরদারিতে গোটা এলাকা সুরক্ষিত রাখা হয়েছিল। মন্দিরে প্রবেশের আগে বিএসএফ জওয়ানরা নির্দিষ্ট ক্যাম্পে ভক্তদের সচিত্র পরিচয়পত্র যাচাই করে টোকেন দেন এবং তাদের নাম নথিভুক্ত করেন। ফেরার পথে সেই টোকেন জমা দিতে হয়। এরপর কাঁটাতারের গেটের সামনে মেটাল ডিটেক্টর সহযোগে তল্লাশি চালানোর পর ভক্তদের মন্দিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কাঁটাতারের এপার থেকে মন্দির পর্যন্ত বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের কঠোর নজরদারি ছিল লক্ষণীয়।
এই দুর্গম স্থানে পূজার দিনটিতে প্রায় মেলা বসে যায়। কাঁটাতারের এপারে বিভিন্ন ধরনের দোকান, খাবারের স্টল এবং ছোটখাটো মেলা বসে, যা উৎসবের আমেজকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে মন্দিরের সামনে সেভাবে মেলার চিত্র না থাকলেও ভক্তদের জন্য ভাণ্ডারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এখানকার ছিন্নমস্তা মা অত্যন্ত জাগ্রত, তাই প্রতি বছরই দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এখানে মানত করতে আসেন।
এদিন সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ সস্ত্রীক মন্দিরে এসে মায়ের পূজা দেন। পূজা কমিটির উদ্যোক্তারা জানান, প্রতি বছরই নিয়ম-নিষ্ঠার সঙ্গে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল থাকে। তাদের মতে, সীমান্ত এলাকার ছিন্নমস্তা মা অত্যন্ত জাগ্রত।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊