কামচাটকায় ৬০০ বছর পর জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি: ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে কি এই ঘটনা?
কামচাটকা (রাশিয়া): রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপে (Kamchatka Volcano Erupts) সম্প্রতি এক ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গত বুধবার ৮.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের জেরে দীর্ঘ ৬০০ বছর পর জেগে উঠেছে খারশিনিননিকোভ আগ্নেয়গিরি (Kamchatka Volcano Erupts)। এই আকস্মিক অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় স্থানীয় বিজ্ঞানীরা হতবাক হয়েছেন এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পই এর কারণ।
ভূমিকম্প ও সুনামি
দুনিয়ার ইতিহাসে মাত্রার বিচারে ষষ্ঠ বৃহত্তম এই ভূমিকম্পের প্রভাবে কামচাটকা উপদ্বীপে অনুভূত হয়েছে ১২০টিরও বেশি আফটার শক। এর ভয়াবহতা এতটাই বেশি ছিল যে জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুনামি ধেয়ে আসে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে উদ্ধার পেতেই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আগ্নেয়গিরির রুদ্রমূর্তি
দীর্ঘ ৬০০ বছর ধরে সুপ্ত থাকা খারশিনিননিকোভ আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠার পর নিজের রুদ্রমূর্তি দেখাচ্ছে। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ঘন কালো ছাই ও ধোঁয়া বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে, যা পুরো এলাকাকে ঢেকে দিয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য ও স্থানীয়দের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রশাসন অবিলম্বে স্থানীয়দের অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। পাশাপাশি, এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে সমস্ত বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
স্থানীয় বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং তার ফলে সৃষ্ট শক্তিশালী কম্পনের কারণেই আগ্নেয়গিরিটির ঘুম ভেঙে গেছে। ৬০০ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকার পর এটি যে আবার সক্রিয় হবে, তার কোনো পূর্বাভাস বা লক্ষণ আগে থেকে পাওয়া যায়নি। তাই বিশেষজ্ঞরা এই অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনাটিকে ভূমিকম্পের প্রত্যক্ষ প্রভাব হিসেবেই দেখছেন। আগ্নেয়গিরির এই জেগে ওঠায় পরিবেশ ও জনজীবনে বড় ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ
অগ্নুৎপাতের ফলে ব্যাপক পরিমাণে ছাই ও ধোঁয়া বাতাসে মিশে যাওয়ায় পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপরতা দেখিয়েছে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊