আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজনৈতিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন, কেন?
৫ আগস্ট ২০২৫ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজনৈতিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনেই তিনি দেশের দীর্ঘতম সময় দায়িত্ব পালনকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রেকর্ড গড়লেন, পেছনে ফেললেন এল.কে. আডভানীকে। একইসঙ্গে দিনটি স্মরণীয় হয়ে আছে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের দিন হিসেবেও। ঠিক ছয় বছর আগে, ২০১৯ সালের এই দিনে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দিয়ে কেন্দ্রীয় শাসনাধীন দুটি পৃথক অঞ্চল – জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ – গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
অমিত শাহের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক কাঠামোয় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ ৭০ শতাংশেরও বেশি কমেছে, নকশাল আক্রান্ত এলাকাগুলিতেও মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, স্থানীয় শাসনব্যবস্থার বিস্তার, পর্যটনের উল্লম্ফন, সিনেমা হল খোলা, রাত্রিকালীন জনজীবন – এসবই অঞ্চলটিতে স্থিতিশীলতার প্রমাণ।
শুধু নিরাপত্তা নয়, শাহর সময়ে আইনি সংস্কারেও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শতবর্ষ পুরনো ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং প্রমাণ আইনের পরিবর্তে আধুনিক আইন চালু করা হয়েছে – ভারতীয় ন্যায়বিচার আইন, নাগরিক সুরক্ষা আইন ও প্রমাণ আইন। এছাড়াও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC)-র মতো বিতর্কিত অথচ প্রভাবশালী পদক্ষেপের বাস্তবায়নও হয়েছে এই সময়ে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও উঠে আসছে। সংবিধানিক ও সাংবিধানিকভাবে এই বিষয়টি এখন বিবেচনায় রয়েছে।
এই দিনে অমিত শাহের দীর্ঘ ছয় বছরের নেতৃত্ব শুধুমাত্র প্রশাসনিক রূপান্তরের নয়, বরং কাশ্মীরের মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের পথপ্রদর্শক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর মন্ত্রিত্ব ভারতের নিরাপত্তা ও আইনি কাঠামোর ভিত মজবুত করার পাশাপাশি জাতীয় সংহতি ও উন্নয়নের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊