শেখ হাসিনার নাম ‘গণহত্যাকারী’ হিসেবে পাঠ্যবইয়ে, ইতিহাস রচনায় বিতর্কের ঝড় বাংলাদেশে
ঢাকা, ২১ আগস্ট:
২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের জেরে ইতিহাস পুনর্লিখনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হতে চলেছে একাধিক বিতর্কিত তথ্য, যার মধ্যে অন্যতম হল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ‘গণহত্যাকারী’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গিয়েছে, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই অনুমোদন সংক্রান্ত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। পাঠ্যবইয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস, যেখানে শেখ হাসিনার ভূমিকা ‘গণহত্যাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পাঠ্যবইয়ে আরও পরিবর্তন:
নির্বাচনী ইতিহাস সংযোজন:
২০০৮ সালের সেনাসমর্থিত নির্বাচন, ২০১৪ সালের বিনা ভোটে ১৫৪ আসনে বিজয়, ২০১৮ সালের ভোটে কারচুপি এবং ২০২৪ সালের ‘ডামি নির্বাচন’—এই চারটি বিতর্কিত নির্বাচনের ইতিবৃত্ত পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ:
শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাদ দেওয়ার প্রস্তাব থাকলেও তা নাকচ করে সংক্ষিপ্ত আকারে বইয়ে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সাহিত্য পাঠ্যবই:
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বই থেকে ‘রহমানের মা’ গল্প ও ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’ নাটক বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ধর্মীয় অনুভূতি ও ভাষাগত কারণে।
জুলাই আন্দোলন:
‘আমাদের নতুন গৌরব গাথা’ প্রবন্ধে বিকৃতি ও শেখ হাসিনার নাম গোপন করার অভিযোগ ওঠায় তা সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। ইউনুস সরকারের সমর্থকরা একে “স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়” হিসেবে দেখলেও, বিরোধীরা একে “ইতিহাসের বিকৃতি” বলে অভিহিত করছেন।
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊