ভয়াবহ ধস বৈষ্ণো দেবী যাত্রাপথে-রিয়াসিতে প্রাণহানি, স্থগিত তীর্থযাত্রা
জম্মু-কাশ্মীরে প্রবল বর্ষণের ফলে মঙ্গলবার বিকেলে মাতা বৈষ্ণো দেবীর যাত্রাপথে ভয়াবহ ধসের ঘটনা ঘটে। ত্রিকুট পাহাড়ের ওপর অবস্থিত এই পবিত্র তীর্থস্থানের পথে ধসের ফলে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। আরও কয়েকজন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ১০০ বছরে আগস্ট মাসে এমন রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের নজির নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় জম্মুতে ১৯০.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা শতাব্দীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই অতিবৃষ্টির ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ধস, বন্যা, সেতু ভেঙে পড়া ও রাস্তা ধুয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। জম্বুর তাওই ব্রিজ মাঝখান থেকে ভেঙে পড়েছে নদীর প্রবল স্রোতে, সেই সময় ব্রিজের ওপর থাকা গাড়িগুলোও নিচে ধসে পড়ে।
দুর্ঘটনার পরেই উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF) এবং মাতা বৈষ্ণো দেবী শ্রীন বোর্ড। ধসের কারণে একটি লোহার পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধারকাজে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখনও মাটির নিচে আটকে থাকা যাত্রীদের খোঁজ চলছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এবং কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জম্মুর বড় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নতুন যাত্রাপথটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন যাত্রা স্থগিত রাখেন যতক্ষণ না পথ নিরাপদ ঘোষণা করা হয়। শ্রীনগর-জম্মু ন্যাশনাল হাইওয়ের একাধিক অংশ ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে। সরকার হেলিকপ্টারসহ অতিরিক্ত উদ্ধার দল মোতায়েন করেছে। রিয়াসি জেলা পুলিশ ও প্রশাসন জরুরি হেল্পলাইন চালু করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পাহাড়ি অঞ্চলে এমন ধসের ঘটনা বাড়ছে। এই ধরনের বিপর্যয় শুধু তীর্থযাত্রীদের নয়, গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা ও পরিবেশের ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊