Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Buddhist Monks : থাইল্যান্ডে সন্ন্যাসীদের সেক্সভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে এক নারী গ্রেপ্তার

থাইল্যান্ডে সন্ন্যাসীদের সেক্সভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে এক নারী গ্রেপ্তার

thailand monk sex video, thai monk, thai monk blackmail, Buddhist Monks,


ব্যাংকক, ১৭ জুলাই, ২০২৫: থাইল্যান্ডে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের (monks) সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে সেই মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করতেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে "মিস গল্ফ" (Ms. Golf) নামে পরিচিত এই নারী অন্তত নয়জন সন্ন্যাসীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন বলে জানানো হয়েছে। গত তিন বছরে তিনি প্রায় ৩৮৫ মিলিয়ন বাত ($11.9m; £8.8m) অর্থ আদায় করেছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, অভিযুক্ত নারীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৮০,০০০ এরও বেশি ছবি ও ভিডিও (photos and videos) উদ্ধার করা হয়েছে, যা তিনি সন্ন্যাসীদের ব্ল্যাকমেইল (blackmail) করার জন্য ব্যবহার করতেন।

এই ঘটনা থাইল্যান্ডের অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানকে (Buddhist institution) নতুন করে বিতর্কের মুখে ফেলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ (sex offences) এবং মাদক পাচারের (drug trafficking) অভিযোগের কারণে এই প্রতিষ্ঠানটি বারবার সমালোচিত হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই ঘটনা তাদের নজরে আসে, যখন তারা জানতে পারেন যে ব্যাংককের একজন মঠাধ্যক্ষ (abbot) একজন নারীর দ্বারা ব্ল্যাকমেইল হওয়ার পর হঠাৎ করে সন্ন্যাসী জীবন ত্যাগ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, "মিস গল্ফ" ২০২৪ সালের মে মাসে ওই মঠাধ্যক্ষের সঙ্গে "সম্পর্ক" স্থাপন করেন। পরে তিনি দাবি করেন যে তার একটি সন্তান হয়েছে এবং সন্তানের ভরণপোষণের জন্য সাত মিলিয়ন বাতের বেশি অর্থ দাবি করেন। এরপর কর্তৃপক্ষ আবিষ্কার করে যে অন্যান্য সন্ন্যাসীরাও একইভাবে "মিস গল্ফ"-কে অর্থ দিয়েছেন, যা পুলিশ তার "মোডাস অপারেন্ডি" (modus operandi) বা কার্যপদ্ধতি বলে অভিহিত করেছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, উদ্ধারকৃত অর্থের প্রায় পুরোটাই তুলে নেওয়া হয়েছে এবং এর কিছু অংশ অনলাইন জুয়ায় (online gambling) ব্যবহার করা হয়েছে।

"মিস গল্ফ"-এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি (extortion), অর্থ পাচার (money laundering) এবং চুরি করা জিনিসপত্র গ্রহণ (receiving stolen goods) সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ "দুর্ব্যবহারকারী সন্ন্যাসী" দের বিষয়ে রিপোর্ট করার জন্য একটি হটলাইনও (hotline) চালু করেছে।

এই কেলেঙ্কারির প্রতিক্রিয়ায় থাই বৌদ্ধ ধর্মের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সংঘ সুপ্রিম কাউন্সিল (Sangha Supreme Council) সন্ন্যাসী বিধি (monastic regulations) পর্যালোচনা করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে। সরকারও সন্ন্যাসীদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা, যার মধ্যে জরিমানা (fines) এবং কারাদণ্ড (jail time) অন্তর্ভুক্ত, আনার জন্য চাপ দিচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code