Wilawan Emsawat: থাইল্যান্ডে সন্ন্যাসী যৌন কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার কে এই উইলাওয়ান এমসাওয়াত?
![]() |
symbolic image |
ব্যাংকক, ১৯ জুলাই ২০২৪: থাইল্যান্ড (Thailand) বর্তমানে এক ভয়াবহ যৌন কেলেঙ্কারির (Sex Scandal) মুখোমুখি, যা দেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী (Buddhist Clergy) সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই কেলেঙ্কারিতে সন্ন্যাসী (Monks) এবং মঠাধ্যক্ষরাও (Abbots) জড়িত থাকায় বিষয়টি আরও বেশি চাঞ্চল্যকর হয়ে উঠেছে। অভিযুক্ত মহিলা, উইলাওয়ান এমসাওয়াত (Wilawan Emsawat), সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (Social Media) ব্যবহার করে সন্ন্যাসীদের প্রলুব্ধ করতেন এবং তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও (Intimate Videos) রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেইল (Blackmail) করতেন।
পুলিশ উইলাওয়ান এমসাওয়াত নামে ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগ, তিনি বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের ব্রহ্মচর্য (Celibacy) ভঙ্গ করে যৌন সম্পর্কে (Sexual Relationships) লিপ্ত হতে প্রলুব্ধ করতেন এবং তারপর ভিডিও বা নগ্ন ছবি ব্যবহার করে তাদের ব্ল্যাকমেইল ও অর্থ আদায় (Extortion) করতেন।
সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত অন্তত নয়জন মঠাধ্যক্ষ এবং জ্যেষ্ঠ সন্ন্যাসীকে (Senior Monks) সন্ন্যাস জীবন থেকে বহিষ্কার (Cast out of Monkhood) করা হয়েছে। রয়্যাল থাই পুলিশ সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (Royal Thai Police Central Investigation Bureau) জানিয়েছে যে, তারা উইলাওয়ানের ফোনে বেশ কয়েকজন বৌদ্ধ নেতার সঙ্গে জড়িত বার্তা এবং অন্তরঙ্গ ভিডিও খুঁজে পেয়েছেন। তারা আরও জানতে পেরেছেন যে, উইলাওয়ান ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ অবৈধ অনলাইন জুয়ায় (Illegal Online Gambling) ব্যয় করতেন।
কে এই উইলাওয়ান এমসাওয়াত?
উইলাওয়ান এমসাওয়াত, যিনি "সিকা গল্ফ" (Sika Golf) নামেও পরিচিত, ব্যাংককের বাইরে ননথাবুরিতে (Nonthaburi) তার বিলাসবহুল বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার হন। ৩০-এর দশকের মাঝামাঝি বয়সের এই মহিলা বর্তমানে চাঁদাবাজি (Extortion), অর্থ পাচার (Money Laundering) এবং চুরি করা সম্পত্তি দখলের (Possession of Stolen Property) অভিযোগে অভিযুক্ত।
পুলিশের অভিযোগ, উইলাওয়ান অন্তত নয়জন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন, যা তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর শুরু হয়েছিল বলে জানা গেছে। একজন সন্ন্যাসী জানিয়েছেন যে, তিনি উইলাওয়ানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কে ছিলেন এবং এমনকি একটি গাড়িও উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন — যতক্ষণ না তিনি আবিষ্কার করেন যে উইলাওয়ান অন্য একজন সন্ন্যাসীর সঙ্গেও জড়িত, যার পর উইলাওয়ান তার কাছে টাকা দাবি করা শুরু করেন।
কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, উইলাওয়ান তিন বছরে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে প্রায় ৩৮৫ মিলিয়ন বাত (প্রায় ১০২ কোটি রুপি) আয় করেছেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে, তারা তার বাড়িতে তার এবং বিভিন্ন সন্ন্যাসীর ৮০,০০০-এরও বেশি আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও খুঁজে পেয়েছেন। এই সামগ্রীগুলি তার শিকারদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল বলে অভিযোগ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন মাসে ব্যাংককের একটি মঠের মঠাধ্যক্ষ হঠাৎ করে সন্ন্যাস জীবন ত্যাগ করার পরই এই কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, উইলাওয়ান তাকে ব্ল্যাকমেইল করার পর তিনি পালিয়ে যান, যিনি পরে দাবি করেন যে ওই সন্ন্যাসী তার সন্তানের পিতা।
একটি সিনেট কমিটি (Senate Committee) এখন আইন পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে যাতে সন্ন্যাসীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকারী মহিলাদের অপরাধী করা যায় — এই প্রস্তাব সমালোচকদের (Critics) কাছ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে, যারা যুক্তি দিচ্ছেন যে পুরুষদেরও তাদের কর্মের জন্য সমানভাবে জবাবদিহি (Equally Accountable) করা উচিত।
থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের (Sangha) মধ্যে কেলেঙ্কারি প্রায়শই যৌনতা বা অর্থ জড়িত থাকে। তবে এই ঘটনায় এত উচ্চপদস্থ সন্ন্যাসীদের জড়িত থাকা এটিকে বিশেষভাবে বিস্ফোরক (Explosive) করে তুলেছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊