Jawa Day celebration : নিশব্দ নয়, গর্জনেই গর্ব—বেঙ্গালুরুর দুই-স্ট্রোক বাইকের উৎসব
![]() |
Photo: Udit Hinduja | ThePrint |
যেখানে দিল্লির রাস্তায় দুই-স্ট্রোক ইঞ্জিনের (Two-stroke bikes) বাইক নিষিদ্ধ, সেখানে বেঙ্গালুরুতে চলছে তার পূর্ণ উদ্দাম। শহরের জয়নগরের শালিনী গ্রাউন্ডস-এ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ২৩তম বার্ষিক জাওয়া ডে উদযাপন (Jawa Day celebration)। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইয়েজদি, শোগুন, আরডি৩৫০, RX100-এর মতো ক্লাসিক বাইকের গর্জনে মুখরিত গোটা এলাকা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ এই কর্কশ শব্দকে “চেইনস-এর মতো” বলে অভিহিত করলেও, বাইকপ্রেমীদের কাছে এটি এক নস্টালজিয়ার উৎসব। দাদু-নাতি একসাথে বাইকে চড়ে ঘুরছেন, আবার বাইকে লেমন-স্পুন রেসে হর্ষধ্বনি উঠছে দর্শকদের মধ্যে। তরুণরা ছবি তুলছে তাদের প্রিয় “নয়েজি হেরিটেজ” বাইকের পাশে।
এই বাইকের শব্দ, গতি, এমনকি তেলের গন্ধ—সবকিছুই আজও জনপ্রিয়তার কারণ বলে জানান সন্দেশ কুমার, ReflectON নামক একটি বাইক রিস্টোরেশন ও পেইন্টিং শপের মালিক। তাঁর মতে, এটি বিশ্বের বৃহত্তম জাওয়া-ইয়েজদি বাইকের সমাবেশ।
২০০০ সালের পর থেকে ভারতে দুই-স্ট্রোক বাইকের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। পরিবেশ সংক্রান্ত কঠোর নিয়ম, জ্বালানি দক্ষ চার-স্ট্রোক ইঞ্জিনের উত্থান এবং ক্রেতাদের রুচির পরিবর্তনের ফলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দিল্লির মতো শহরে এই বাইকগুলি নিষিদ্ধ হলেও বেঙ্গালুরুতে এখনো RX100, RD350, Shogun, Samurai, Lambretta-এর মতো বাইকের গর্জন শোনা যায়।
বেঙ্গালুরুর রাস্তায় ছড়িয়ে আছে রিস্টোরেশন শপ, বাইক ক্লাবের মাসিক রাইড, এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে হস্তান্তরিত বাইক। ইয়েজদি ও জাওয়া বাইকের উৎপাদন ইতিহাসও এই অঞ্চলের সঙ্গে জড়িত—মাইসোর-এর কারখানাগুলোর গর্ব আজও বহন করে এই শহর।
এই বাইকগুলো বাজারে সহজে পাওয়া যায় না বলে জানান বিশাল আগরওয়াল, India RD Club-এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর কথায়, এগুলো কিনতে শুধু টাকা নয়, দরকার ধৈর্য, খোঁজ, এবং মেকানিকদের সঙ্গে দৌড়ঝাঁপ। শুধুমাত্র প্রকৃত প্রেমিকরাই এই যাত্রায় নামেন।
এই প্রতিবেদনটি শুধু বাইকের নয়, এটি একটি শহরের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং আবেগের প্রতিচ্ছবি। বেঙ্গালুরু যেন দুই-স্ট্রোক বাইকের শেষ আশ্রয়স্থল—যেখানে গর্জনই গর্ব ।
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊