Trump intervenes in Thailand-Cambodia border clash, two countries on path to ceasefire
স্কটল্যান্ড সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার (২৬ জুলাই, ২০২৫) এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন—থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা শীঘ্রই যুদ্ধবিরতির জন্য বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। গত তিন দিন ধরে চলা সীমান্ত সংঘর্ষে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৩ জন, এবং গৃহহীন হয়েছেন ১.৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে জানান, তিনি পৃথকভাবে কথা বলেছেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ভেচায়াচাই এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেটের সঙ্গে। তিনি উভয় নেতাকে সতর্ক করে বলেন, যদি সংঘর্ষ চলতে থাকে, তাহলে আমেরিকা তাদের সঙ্গে কোনও বাণিজ্য চুক্তি করবে না।
এই সংঘর্ষ শুরু হয় মে মাসে এক কম্বোডিয়ান সেনার মৃত্যুর পর। এরপর থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। থাইল্যান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ৭ জন সেনা ও ১৩ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৫ জন সেনা ও ৮ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের মূল কারণ দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ, বিশেষ করে প্রাচীন হিন্দু মন্দির প্রেহ ভিহার ও তা মোয়ান থম-এর মালিকানা নিয়ে। আন্তর্জাতিক আদালত ১৯৬২ সালে প্রেহ ভিহার মন্দির কম্বোডিয়ার বলে রায় দিলেও থাইল্যান্ড সেই রায়কে স্বীকৃতি দেয়নি, এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায়।
ট্রাম্প বলেন, “উভয় পক্ষই এখন যুদ্ধবিরতি ও শান্তির জন্য প্রস্তুত। আমি আশা করি, সবকিছু ঠিকঠাক হলে আমরা আবার বাণিজ্য আলোচনার টেবিলে ফিরতে পারব।”
এই ঘটনার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক ডেকেছে এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, যিনি ASEAN-এর চেয়ার, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
এই কূটনৈতিক উদ্যোগ সফল হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা প্রশমিত হতে পারে। তবে ট্রাম্পের বাণিজ্য চুক্তিকে চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কৌশল নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊