Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Stampede at Mansa Devi Temple : মানসা দেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ৬ পুণ্যার্থীর মৃত্যু

হরিদ্বারে মানসা দেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ৬ পুণ্যার্থীর মৃত্যু

Haridwar, Uttarakhand: Stampede-like situation at Mansa Devi Temple. Injured admitted to the hospital; casualties feared.


হরিদ্বার, ২৭ জুলাই: হরিদ্বারের পবিত্র মানসা দেবী মন্দিরে ( Mansa Devi Temple in Haridwar) এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৬ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে এবং ২৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে রবিবার সকালে, যখন শ্রাবণ মাস উপলক্ষে হাজার হাজার ভক্ত মন্দিরে দর্শনে এসেছিলেন। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় গোটা দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং ধর্মীয় স্থানে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

দুর্ঘটনাটি মন্দিরের সিঁড়ির পথে ঘটে, যা সাধারণত তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে পরিপূর্ণ থাকে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে হঠাৎ ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়, এবং সেই থেকেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। কিছু সূত্র অনুযায়ী, ভিড়ের মধ্যে বিদ্যুৎচমকের মতো একটি ঘটনা আতঙ্ক ছড়ায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে এবং এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।

ঘটনার পরপরই স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গড়ওয়াল বিভাগের কমিশনার বিনয় শঙ্কর পাণ্ডে জানান, "মানসা দেবী মন্দিরে প্রবল ভিড়ের চাপে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিচ্ছি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।" তিনি আরও জানান যে, উদ্ধারকাজ পুরোদমে চলছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, "SDRF, স্থানীয় পুলিশ ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। আমি প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।" মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

হরিদ্বারের অন্যতম পবিত্র স্থান মানসা দেবী মন্দির। এটি একটি শক্তিপীঠ হিসেবে পরিচিত এবং প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত মা মানসার দর্শনে আসেন। বিশেষ করে শ্রাবণ মাসে এই মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে, যা এবার প্রাণঘাতী হয়ে উঠল। এই মন্দিরটি একটি পাহাড়ের উপরে অবস্থিত এবং সেখানে পৌঁছানোর জন্য সিঁড়ি বা রোপওয়ে ব্যবহার করতে হয়। ভিড়ের সময় সিঁড়ির পথ প্রায়শই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।

এই দুর্ঘটনা আবারও ধর্মীয় স্থানে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অতীতেও দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে, যা থেকে শিক্ষা নিয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে। প্রশাসনের তরফে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

إرسال تعليق

0 تعليقات

Ad Code