চন্দননগরের গৃহবধূ রাশিয়ান গুপ্তচর ! বাচ্চাকে নিয়ে নিখোঁজ রাশিয়ান মহিলা ! সন্তানকে ফিরে পেতে মরিয়া বাবা
রাশিয়ান গৃহবধূ গুপ্তচর! পুলিশের দ্বারস্থ পরিবার
হুগলি: চন্দননগরের গৃহবধূ রাশিয়ান গুপ্তচর ! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করছেন খোদ তার পরিবারের সদস্যরাই ! দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে দারস্থ হয়েছেন চন্দননগরের বসু পরিবার ! এরপরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির চন্দননগর এলাকায়। চীনে কর্তব্যরত থাকাকালীন অবস্থায় চন্দননগরের বাসিন্দা সৈকত বসুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং রাশিয়ান মহিলা ভিক্টোরিয়া জিগালিনা। বিয়ের পরে তারা লকডাউনের আগে চলে আসেন চন্দননগরে। তারপর থেকে গুপ্তচরবৃত্তি করতে থাকেন ওই মহিলা এমনটা অভিযোগ করছেন পরিবারের সদস্যরা। রাশিয়ান তরুণী চন্দননগরের বধূ ওই মহিলা ভিক্টোরিয়া জিগালিনার বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁর স্বামী সৈকত বসু। অভিযোগ, তাঁদের সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন ভিক্টোরিয়া।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়। সেখান থেকে বন্ধুত্ব হয়ে শেষ পর্যন্ত বিয়ে। ২০১৭ সালে রাশিয়ান বান্ধবীকে বিয়ে করেছিলেন হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা সৈকত বসু। যুবকের দাবি, বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী ভিক্টোরিয়া রাশিয়ার এক প্রাক্তন গুপ্তচরের মেয়ে। এরপরই শুরু হয় অশান্তি। সৈকতের বাবা সমীর বসু প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার। অভিযোগ, ভারতীয় সেনার সদর দফতরে বারবার যেতে চান ভিক্টোরিয়া। কিন্তু তাঁর পারিবারিক ইতিহাস জানার পর সাড়া দেয়নি বসু পরিবার। অভিযোগ এরপরই নানাভাবে ওই পরিবারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেন তরুণী।
সূত্রের খবর রাশিয়ান গুপ্তচর এর মেয়ে বিষয়টি জানার পরে পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে আর সেনাদপ্তরে নিয়ে যেতে চাইনি। এমনকি ওই মহিলা তার নিজের ছেলেকে রাশিয়ান পাসপোর্ট তৈরি করে দেয়। এবং তাদের ছেলে যাতে রাশিয়ান নাগরিকত্ব পায় সেই কারণে গর্ভবতী অবস্থাতেই তিনি রাশিয়া চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করোনাকালে সন্তান হওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। এমনকী সন্তানকে ব্যবহার করেও ভারতীয় সেনার সদর দফতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পরিবারের।
২০২৩ সালে ভিক্টোরিয়ার মা আসেন চন্দননগরে। এরপর চন্দননগরের বাড়িতে বাচ্চাকে ফেলে রেখে, ভিক্টোরিয়া এবং ওঁর মা মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেন। কিন্তু আইনি লড়াইয়ে সন্তানকে রাশিয়া নিয়ে যেতে পারেনি। বেআইনিভাবে সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।''
পরিবারের লোকজন আরো গুরুতর অভিযোগ করছে, তাদের বাচ্চাকে ওই রাশিয়ান তরুণী নিয়মিত ড্রাক্স সেবন করাতো। ছেলের প্রতি একেবারে অযত্নশীল ছিল। তার ওপরে অত্যাচার করত। গত ৭ জুলাই থেকে সৈকত বসুর ছেলেকে নিয়ে পালিয়েছে তার রাশিয়ান স্ত্রী। সূত্রের খবর, রাশিয়ান দূতাবাসে নাকি শেষবার দেখা গিয়েছিল বাচ্চা সমেত একটি ব্যাগ নিয়ে ভিক্টোরিয়াকে যেতে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে পরিবার আর্জি জানিয়েছেন যেভাবেই হোক তাদের বাচ্চাকে যেন ফিরিয়ে দেয়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊