গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে সংস্কৃত ভাষায় লেখা প্রথম পিএইচডি অর্জন করলেন কোচবিহারের অধ্যাপক
কোচবিহার, ১৭ জুলাই, ২০২৫: কোচবিহারের গুঞ্জবাড়িতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি বি.টি অ্যান্ড ইভিনিং কলেজের সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মন্তেশ্বর বর্মন (Manteswar Barman) গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Gauhati University) সংস্কৃত বিভাগ থেকে সংস্কৃত ভাষায় লেখা প্রথম পিএইচডি (Ph.D.) ডিগ্রি অর্জন করে এক অনন্য কৃতিত্ব স্থাপন করেছেন। তার এই সাফল্য কোচবিহার এবং উত্তরবঙ্গের জন্য গর্বের বিষয়।
গবেষণার বিষয়বস্তু:
অধ্যাপক বর্মনের পিএইচডির বিষয় ছিল - "ধ্বনিসিদ্ধান্তদৃষ্ট্যা অভিজ্ঞানশকুন্তলনাটকস্য সমীক্ষণম্"। অর্থাৎ আনন্দবর্ধন বিরচিত ধ্বন্যালোক গ্রন্থে যে ধ্বনিসিদ্ধান্ত আলোচিত হয়েছে, তার দৃষ্টিতে মহাকবি কালিদাস (Mahakavi Kalidas) বিরচিত অভিজ্ঞানশকুন্তলা নাটকের (Abhijnanashakuntalam Natakam) সমীক্ষা। তার গবেষণার নির্দেশিকা ছিলেন গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপিকা প্রফেসর সুদেষ্ণা ভট্টাচার্য (Professor Sudeshna Bhattacharya)।
গবেষণা গ্রন্থের অধ্যায় বিন্যাস: এই গবেষণা গ্রন্থটি মোট ছয়টি অধ্যায়ে বিভক্ত:
প্রথম অধ্যায় (ভূমিকা): এই অংশে মহাকবি কালিদাস সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে কালিদাসের জীবনী, তার আবির্ভাবকাল, তার রচনা সমগ্র এবং তার রচনাশৈলী বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।
দ্বিতীয় অধ্যায়: আনন্দবর্ধনের ধ্বনিসিদ্ধান্ত (Dhvani Siddhanta) সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ধ্বনি কী, ধ্বনির ভেদ, সংস্কৃত কাব্যশাস্ত্রে আনন্দবর্ধনের অবদান ইত্যাদি বিষয়গুলি এই অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে।
তৃতীয় অধ্যায়: অভিজ্ঞানশকুন্তলা নাটকে বস্তুধ্বনি বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে।
চতুর্থ অধ্যায়: অভিজ্ঞানশকুন্তলা নাটকে অলংকারধ্বনি বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে।
পঞ্চম অধ্যায়: অভিজ্ঞানশকুন্তলা নাটকে রসধ্বনি বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে।
ষষ্ঠ অধ্যায় (উপসংহার): পরিশেষে এই অধ্যায়ে গবেষণার মূল বিষয়বস্তু এবং ফলাফল আলোচনা করা হয়েছে।
প্রশংসা ও স্বীকৃতি:
গবেষক মন্তেশ্বর বর্মনের এই কৃতিত্ব আসামের একটি ইংরেজি পত্রিকা 'দ্য আসাম ট্রিবিউন' (The Assam Tribune) এবং একটি অসমীয়া পত্রিকা 'অসমীয়া প্রতিদিনে' (Asomiya Pratidin) প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও, গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে মন্তেশ্বর বর্মন এবং তার গাইড প্রফেসর সুদেষ্ণা ভট্টাচার্যকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
গবেষকের ইচ্ছে আছে এই গবেষণা গ্রন্থটিকে সর্বস্তরের শিক্ষানুরাগির জন্য ইংরেজি ভাষায় একটা বই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রকাশ করা। অধ্যাপক বর্মনের এই গবেষণা সংস্কৃত সাহিত্য এবং কাব্যশাস্ত্রের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, যা ভবিষ্যৎ গবেষকদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊