Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Free Trade Agreement: ঐতিহাসিক ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন দিগন্ত

Free Trade Agreement: ঐতিহাসিক ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন দিগন্ত

Free Trade Agreement: ঐতিহাসিক ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন দিগন্ত


নয়াদিল্লি:

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে স্বাক্ষরিত হল ঐতিহাসিক ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (Free Trade Agreement - FTA)। বৃহস্পতিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দু'দিনের ব্রিটেন সফরের আবহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে বৈঠকের পর এই landmark (ল্যান্ডমার্ক) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। এই চুক্তি ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বহু বছর ধরেই এই চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে negotiations (নেগোসিয়েশনস) বা দর কষাকষি চলছিল। মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে জট তৈরি হয়েছিল:

  • অ্যালকোহলের উপর ভারতের আরোপিত আমদানি শুল্ক।
  • মোটরগাড়ির উপর ভারতের আমদানি শুল্ক।
  • কাজের ভিসায় ব্রিটেনগামী ভারতীয় পেশাদারদের Immigration (ইমিগ্রেশন) বা অভিবাসন নীতি।

ভারত শুল্কের বিষয়ে নমনীয় হলেও অভিবাসন ইস্যুতে নিজেদের অবস্থানে দৃঢ় ছিল, যা দীর্ঘ সময় ধরে একটি deadlock (ডেডলক) বা অচলাবস্থা তৈরি করে রেখেছিল।

২০২১ সালে বরিস জনসনের আমলে নতুন করে আলোচনা শুরু হলেও লিজ ট্রাসের সময় তা প্রায় ভেস্তে যেতে বসেছিল। তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যানের অভিবাসন-বিরোধী মন্তব্য তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়, যার জেরে তাঁকে পদত্যাগও করতে হয়। এরপর ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০২৩ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তিটি নতুন গতি পায়।

অবশেষে, ব্রিটেনে কিয়ের স্টার্মারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি সরকার গঠনের পর এই চুক্তিকে তাদের Foreign Policy (ফরেন পলিসি)-র অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হিসেবে স্থির করা হয়, যার ফলস্বরূপ এই ঐতিহাসিক সাফল্য। স্টার্মার প্রথম থেকেই শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।

এই চুক্তি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাণিজ্য ছাড়াও Education (শিক্ষা), Technology (প্রযুক্তি) এবং Security (নিরাপত্তা) -র মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়বে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর এই সফরে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। ব্রিটেনের পর তাঁর পরবর্তী গন্তব্য মালদ্বীপ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি ভারত ও ব্রিটেনের Bilateral Relations (বাইলেটারাল রিলেশনস) বা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এক নতুন যুগের সূচনা করল।

إرسال تعليق

0 تعليقات

Ad Code