শেষ রক্ষা হলো না সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে গেল ইলেকট্রিক পোস্ট, ইটের আস্ত রাস্তা
শেষ রক্ষা আর হলো না নদীগর্ভে তলিয়ে গেল ইলেকট্রিক পোস্ট এবং আস্ত ইটের রাস্তা। একটু একটু করে সমুদ্রে গর্ভে বিলীন হতে বসেছে গঙ্গাসাগর। অশনি সংকেত গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সামনে নদী বাঁধ একটু একটু করে ভেঙে গিয়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নিম্নচাপের জেরে ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে গিয়েছে বঙ্গোপসাগর। বঙ্গোপসাগর উত্তাল হওয়ার কারণে বড় বড় দৈত্যাকার ঢেউ আছড়ে পড়ছে মাটির নদী বাঁধে। দুর্বল হয়ে গিয়েছে মাটির নদী বাঁধ হঠাৎই বুধবার সকালে জোয়ারের জলের তোরে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গণ এর সামনে এক নম্বর স্নান ঘাট থেকে শ্মশান পর্যন্ত প্রায় হাফ কিলোমিটার ইটের রাস্তা ভেঙ্গে সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। জোয়ারের তোরে বড় বড় ইলেকট্রিক পোস্ট ভেঙ্গে পড়েছে। আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয় সরে যাচ্ছে এলাকাবাসীরা।
কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গণ এর সামনে সমুদ্র ভাঙন রোধ করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল রাজ্য সরকার কিন্তু সেই পদক্ষেপ কার্যত বিফলে যাচ্ছে। একটু একটু করে নদী গর্ভে বিলীন হতে বসেছে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের প্রাঙ্গণ। ধীরে ধীরে সাগর গিলে খাচ্ছে কপিলমুনিকে। এমনি চলতে থাকলে আর কয়েক বছরের মধ্যেই কপিলমুনি মন্দির নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে আতঙ্কিত এক এলাকাবাসী মর্জিনা বিবি তিনি জানান, বড় বড় ঢেউ ভেঙে যাচ্ছে সমস্ত কিছু। রাস্তা ভেঙ্গে গিয়েছে, ইলেকট্রিকের পোস্ট ভেঙে গিয়েছে। এরপরে কি হবে আমরা জানিনা। ভাঙন মেরামত করার জন্য যেটুকুনি কাজ করেছিল সেটুকুনি কাজও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। অস্থায়ীভাবে কাজ করলে কোন সমাধান হবে না এই নদী ভাঙন রোধ করার জন্য স্থায়ী কাজ করতে হবে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি, আগামী দিনে আরও বড় বড় কোটাল রয়েছে সেই কোটালে কি অবস্থা হবে আমরা বুঝতে পারছি না। আজ জোয়ারে ইলেকট্রিক পোস্ট রাস্তা সমস্ত কিছুই ভেঙে চলে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেঙে যাওয়া ইলেকট্রিক পোস্ট গুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হরিপদ মন্ডল জানান, রাজ্য সরকারের আর্থিক অনুদানে যেটুকুনি করা সম্ভব সেটুকুনি করা হচ্ছে মাটির নদী বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু মাটির নদী বাঁধ স্থায়ী সমাধান নয়। আমরা চাই কপিল মুনিকে রক্ষা করার জন্য সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার জন্য এই বাঁধ নির্মাণে সাহায্য করুক কেন্দ্র সরকার। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারের যৌথ উদ্যোগে স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ একমাত্র সমাধান সূত্র না হলে কপিলমুনির ভবিষ্যৎ প্রশ্ন চিহ্নের মুখে এসে দাঁড়াবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊