দুর্গাপুরে জগন্নাথ স্নানযাত্রায় সস্ত্রীক দিলীপ, ‘আমার স্বামী ভুল করতে পারেন না', দীঘা প্রসঙ্গে রিঙ্কু
একুশের পর থেকেই প্রাক্তন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের সময়টা বেশ খারাপ চলছে । পঁচিশে এসে বেশ বেকায়দায় দিলীপ ঘোষ । বিয়ের পরে মোটামুটি কিছুটা গুরুত্ব ছিল দিলীপ ঘোষের । কিন্তু যেই দীঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শন এবং দলের বেশ কিছু সাংসদ এবং নাম না করে মোদি-শাহের বর্তমান প্রিয়পাত্র যদিও নির্বাচনী সাফল্য বড় লবডঙ্কা সেই শুভেন্দু অধীকারীর কড়া সমালোচনা করার পরে দলে একপ্রকার ব্রাত্য । প্রধানমন্ত্রী এবং গৃহমন্ত্রীর সভায় তাকে ডাকা হয়নি । এখন বিজেপির অন্দরে কার্যত দিলীপ ঘোষ ব্রাত্য । এই অবস্থায় দুর্গাপুরে সস্ত্রিক তিনি আসেন।
সকালে প্রাতঃভ্রমণে বের হন। সঙ্গে গুটিকয় অনুগামী। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রাতঃভ্রমণ এবং চায়ে পে চর্চায় প্রাক্তন বঙ্গ বিজেপি সভাপতির কথা শুনতে বেশ ভিড় হতো। কিন্তু একের পরর এক বিপর্যয়ের পরে দিলীপ ঘোষ এখন বড্ড একলা , গুটি কয় অনুগামী ছাড়া ।
স্ত্রীকে সাথে নিয়েও প্রাতঃ ভ্রমণে এলেও সেভাবে দুর্গাপুরকে আর টানেনি । কার্যত ফাঁকা মাঠেই বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ তার আজকের সস্ত্রিক প্রাতঃভ্রমণ সারলেন । তবে আগের সেই দিলীপ ঘোষের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আর নেই। কোথাও যেন একা হয়ে যাওয়ার মন খারাপ অবস্থা । দলকে অক্সিজেন তিনিই দিয়েছিলেন কিন্তু দলে এখন রমরমা বাজার কাঁথির অধিকারী পরিবারের মেজোবাবুর । সুর , তাল , লয়হীন দিলীপ ঘোষ কার্যত আবার আগের মেজাজে ফিরে আসার চেষ্টায় ।
বুধবার দুর্গাপুরের জগন্নাথ মন্দিরে হাজির হন সস্ত্রীক দিলীপ। সেখানে স্নানযাত্রায় অংশ নেন তাঁরা। একসঙ্গে জগন্নাথদেবকে স্নানও করান তাঁরা। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়া নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ উঠলে দিলীপ বলেন, "বিতর্কে যাওয়ার দরকার নেই ভক্তদের। ভগবান যেখানে আছেন, সেটাই ধাম। আমরা সেখানে ভক্তি দেখাই, দর্শন করি। ভক্তি থেকেই ভগবানের কাছে যাই।" দিলীপের বক্তব্য, "যাঁরা বিদ্বান, সন্ত, যাঁরা পুরাণ জানেন, তাঁরা ঠিক করবেন কোথায় ধাম। ভগবান যেখানে আছেন, ভক্তরা সেখানেই যান। ভগবানের দর্শন পেলে মনে আনন্দ হয়। এটা দলের কোও বিষয় নয়। এটা ধর্মীয় বিষয়।"
জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার মধ্যে কোনও বিতর্ক দেখছেন না দিলীপের স্ত্রীও। তাঁর কথায়, "যে কোনও ধর্মীয় স্থানই ভাললাগার বিষয়। দিঘাতেও ভালই লেগেছিল। সবসময় রাজনীতি মাথায় থাকে না। কোনো আফশোস নেই। কারণ আমার স্বামী এমন কোনও ভুল করতে পারেন না। উনি ঠিক মনে করেছিলেন বলেই গিয়েছিলেন। পরে প্রমাণও হয়েছে যে, ওঁর সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। এটা রাজনীতির অংশ। কূটনৈতিক গত ভাবে বিরোধিতা করা হয়।"
রিঙ্কু জানিয়েছেন, আজ মন্দিরেও দিলীপই তাঁকে নিয়ে যান। তাঁর বক্তব্য, "আমি আবদার করি না। উনিই নিয়ে আসেন। উনি যেখানে বলেন, আমি যাই। আজও খুব ভাল লাগল।" দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন রিঙ্কু। জানান, আদর্শগত ভাবে মমতার বিরোধিতা করেন তিনি। কিন্তু দিঘার মন্দিরে আন্তরিক আতিথেয়তাই পান মমতার কাছ থেকে। মমতা হয়ত দিলীপের মূল্যবোধ, নীতিবোধকে সম্মান করেন, তাই এত আন্তরিক ব্যবহার করেন বলেও জানান রিঙ্কু।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊