চার বছর পর আবার ফিরছে সংক্রমণের আতঙ্ক! ভয় ধরাচ্ছে ভয়াবহ অ্যানথ্রাক্স

deadly anthrax is spreading



চার বছর পর আবার ফিরছে সংক্রমণের আতঙ্ক! ভয়ে কাঁটা গোটা এলাকাবাসী। একদিকে যেখানে ফের মাথা চারা দিয়ে উঠছে করোনা ভাইরাস, সেখানে পাল্লা দিয়ে ভয় ধরাচ্ছে ভয়াবহ অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া। উত্তরের বনাঞ্চলে জারি সর্বোচ্চ সতর্কতা, নজরে একশৃঙ্গ গন্ডার।

চার বছর পর ফের উত্তরের জনপদে হানা দিল ভয়াবহ অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া। কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার এক প্রত্যন্ত গ্রামে সম্প্রতি সংক্রমিত ছাগলের মাংস খেয়ে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের তিন সদস্যের। এর পরেই গোটা অঞ্চলে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। অ্যানথ্রাক্স, যা ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট, মূলত তৃণভোজী গৃহপালিত ও বন্য প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়। মানুষের শরীরে এই রোগ প্রবেশ করে সংক্রামিত পশুর চামড়া, পশম বা মাংসের মাধ্যমে। এই ব্যাকটেরিয়া ১৯৯৩ ও ২০২০ সালেও ভয়াবহ রূপে দেখা দিয়েছিল জলদাপাড়া ও আশপাশের অঞ্চলে, যার বলি হয়েছিল পাঁচটি গন্ডার। সেই আশঙ্কা থেকেই এবার সতর্ক জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী বিভাগ।


বিভাগীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গরুমারা ও চাপরামারী জাতীয় উদ্যান এলাকায় বসবাসকারী তৃণভোজী বন্যপ্রাণীদের উপর বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে। গরুমারায় বর্তমানে থাকা ৫৫টি একশৃঙ্গ গন্ডার এখন বিশেষ পর্যবেক্ষণে। এডিশনাল ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার রাজীব দে জানিয়েছেন, “গৃহপালিত পশুদের সংক্রমণ থেকে এই ব্যাকটেরিয়া বন্যপ্রাণীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে উল্টোটাও সম্ভব। তাই দুই দিকেই আমরা নজর রাখছি।”

বন্যপ্রাণ বিভাগ নিয়মিত পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। বন দফতরের নিজস্ব কুনকি হাতিগুলোকেও দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত ভ্যাকসিন। আপাতত সমস্ত হাতি রয়েছে সুরক্ষিত। প্রাণীদের পাশাপাশি এখন মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে উদ্বেগ। অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে, ফের বড় বিপদের মুখে পড়তে পারে উত্তরবঙ্গের এই সংবেদনশীল বনাঞ্চল।