যশের ভালোবাসা থেকে মুক্তি চাইছে নুসরত ! জোর গুঞ্জন নেটপাড়ায়

Nusrat is seeking freedom


টলিউডের অন্যতম চর্চিত জুটি যশ দাশগুপ্ত ও নুসরত জাহান। একসঙ্গে থাকা, সন্তানের জন্ম, পারস্পরিক সামাজিক মাধ্যম পোস্ট— সব মিলিয়ে তাঁদের সম্পর্ক বহুদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। তবে সম্প্রতি সেই সম্পর্কে ভাঙনের সুর শোনা যাচ্ছে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

দিন কয়েক ধরেই টলিপাড়ার অন্দরে জোর গুঞ্জন, যশ-নুসরতের সম্পর্কে নাকি দূরত্ব বেড়েছে। সত্যিই কি তারকাজুটির ‘আড়ি’? কৌতূহলের অন্ত নেই অনুরাগীদের।

Nusrat is seeking freedom
photo credit: nusrat insta

সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে তারকাজুটি একে-অপরের ছবিতে ‘লাইক’ দিলেও জল্পনার রেশ কিছুতেই থামছে না। এমন আবহেই নুসরত জাহানের ইনস্টা স্টোরিতে উঁকি দিয়ে দেখা গেল একাধিক জীবনদর্শনমূলক পোস্ট। সেখানেই একটি পোস্টে জ্বলজ্বল করছে গীতার শ্লোক। যেখানে ‘মুক্তির স্বাদ’ পাওয়ার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন, কি থেকে মুক্তি খুঁজছেন নুসরত ?

Nusrat is seeking freedom
photo credit: nusrat insta

গত বুধবার সকাল থেকেই তারকাজুটির বিচ্ছেদ জল্পনায় সরগরম টলিপাড়া! মা-বাবা, বোন এবং ছেলে ঈশানকে নিয়ে নুসরত গিয়েছেন দার্জিলিং বেড়াতে। শৈলশহর থেকে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে জানান দিয়েছিলেন যে, তিনি ছুটি উপভোগ করছেন। কিন্তু শুক্রবার অভিনেত্রীর ইনস্টা স্টোরিতে শেয়ার করা একাধিক পোস্টে মনখারাপের আভাস মিলল। সেখানে কখনও মাতৃত্ব নিয়ে পাঠ দিয়েছেন, আবার কখনও বা জীবনে আগত অতিথিদের থাকা, না-থাকার উল্লেখ রয়েছে। তার মাঝেই একটি পোস্টে লেখা গীতার বাণী। যেখানে লেখা- ‘সর্বধর্মান পরিত্যাজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।’ যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘সকল ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল ঈশ্বরের কাছে আত্মসমর্পণ করো’। তার নিচেই লেখা- ‘যা কিছু তোমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে সেখানে সমপর্ণ করো। এটা জীবনে শান্তি আর স্বাধীনতা এনে দেয়।’

Nusrat is seeking freedom
photo credit: nusrat insta

যশ-নুসরত যখন যে যাঁর মতো করে ছুটি উপভোগ করছেন তখন নেটপাড়ার আরও গুঞ্জন, তাঁরা নাকি ইনস্টাগ্রামে একে-অপরকে আর ফলো করছেন না!

তবে জল্পনা বাড়তেই সংবাদমাধ্যমের কাছে যশ দাশগুপ্ত জানিয়েছিলেন, ভুয়ো খবর ঘুরছে। সবটাই গুজব। যশের দাবি, নুসরত জাহানের সঙ্গে কোনও সমস্যাই হয়নি তাঁর। ইনস্টাগ্রামে ‘আনফলো’ করার বিষয়টি নিয়ে যশ জানান, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই তাঁর প্রোফাইল থেকে নুসরতকে ফলো করা যাচ্ছে না।