Weather Update: কেমন থাকবে আকাশ? জানুন আবহাওয়ার খবর

What will the sky be like? Know the weather news

গত কয়েকদিনে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল সহ দেশের অনেক জায়গায় আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। ঝড় ও বৃষ্টির কারণে এই অঞ্চলগুলিতে মানুষ গরম থেকে স্বস্তি বোধ করছে। আগামী ৪ থেকে ৫ দিন এই আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে। ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তর (IMD) অনুসারে, এই পরিবর্তন মূলত একটি সক্রিয় পশ্চিমা ঝঞ্ঝা এবং এর সাথে সম্পর্কিত ঘূর্ণিঝড়ের কারণে, যা বর্তমানে মধ্য পাকিস্তান এবং সংলগ্ন পাঞ্জাব এবং উত্তর-পশ্চিম রাজস্থানের উপর কেন্দ্রীভূত।

এছাড়াও, একই সাথে সক্রিয় স্থানীয় এবং বৈশ্বিক আবহাওয়া ব্যবস্থা আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী। রাজস্থানের উপর দুটি ঘূর্ণিঝড় এবং আরব সাগর এবং পূর্ব উপকূলের উপর একটি অ্যান্টিসাইক্লোন একসাথে উত্তর-পশ্চিম ভারতে আবহাওয়ার ব্যাঘাতের জন্য দায়ী।

আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শক্তিশালী পশ্চিমা ঝড়ের কারণে, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের অনেক অঞ্চলে ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে তীব্র বাতাস বইতে পারে এবং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়কালে বজ্রপাতের ঘটনাও ঘটতে পারে। এই সময়কালে জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের হিমালয় অঞ্চলগুলিতেও বজ্রপাত এবং বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি তীব্র বাতাস বইবে। ৬ থেকে ৮ মে উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টিপাত (১১৫ মিমি-এর বেশি) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে ৮ মে জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, গিলগিট-বালতিস্তান এবং মুজাফফরাবাদে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, ৫ এবং ৬ মে উত্তরাখণ্ডের কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হতে পারে।


পশ্চিমা ঝঞ্ঝা কী?
পশ্চিমা ঝঞ্ঝা হল একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় যা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে উৎপন্ন হয় এবং ইরান, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান হয়ে ভারতে আসে। এর ফলে শীতকালে ভারতে বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত হয়। তাছাড়া, এটি বর্ষার আগে ঝড়ও তৈরি করে। তবে গ্রীষ্মকালে এই ঝড়ের সংখ্যা বেড়েছে, যা সম্ভবত বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। আরব সাগরের উপর কয়েক সপ্তাহ ধরে সক্রিয় থাকা ঘূর্ণিঝড় অ্যান্টিসাইক্লোনিকের কারণে পশ্চিমা ঝঞ্ঝা আরও শক্তিশালী হচ্ছে।


পূর্ব ও মধ্য ভারতেও সতর্কতা:
৬ মে, মধ্যপ্রদেশ, বিদর্ভ, ওড়িশা এবং বিহারের অনেক জায়গায় ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পাশাপাশি বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ওড়িশা, ছত্তিশগড় এবং পূর্ব মধ্যপ্রদেশেও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৬ মে ওড়িশায় এবং ৬-৮ মে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই এলাকাগুলিতে ১১৫ মিমি-এর বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হতে পারে, যা স্থানীয় জলাবদ্ধতা বা ফসলের ক্ষতির কারণ হতে পারে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে, এই অঞ্চলগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।


উত্তর-পূর্ব ভারতে মৌসুমি বায়ুর মতো পরিস্থিতি:
আগামী এক সপ্তাহ ধরে উত্তর-পূর্ব ভারতে আবহাওয়া সক্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬ থেকে ৮ মে আসাম ও মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাত (১১৫ মিমি-এর বেশি) হতে পারে এবং ৬ থেকে ৭ মে অরুণাচল প্রদেশের অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়কালে, ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বাতাস এবং বজ্রপাতও দেখা যেতে পারে।


পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া :
দুর্যোগের ঘনঘটা অব্যাহত বাংলায়। আজ থেকে আগামী তিনদিন জেলায় জেলায় ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। তবে সব জেলায় সতর্কতা জারি হয়নি। বৃহস্পতিবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী সাতদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৪০ কিমি বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আজ ও আগামিকাল সব জেলায় জারি রয়েছে হলুদ সর্তকতা।

মঙ্গলবার ভোর হতেই কাল বৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্র বিদুৎসহ বৃষ্টিতে দিশেহারা উত্তরের স্বাভাবিক জনজীবন। বুধবার সকাল পর্যন্ত চলে ঝড় বৃষ্টি।