নজরুলের জন্মদিনে গ্রেস কটেজ বুলেটিন প্রকাশ
দীপাঞ্জন দে: ২৬ মে, ২০২৫ (১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ সোমবার) কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তীতে প্রকাশিত হলো ‘গ্রেস কটেজ বুলেটিন’।
কৃষ্ণনগরের এই গ্রেস কটেজ নামক বাড়িতে কাজী নজরুল ইসলাম সপরিবার প্রায় আড়াই বছর বসবাস করেছিলেন। ১৯২৬ সালের ৩ জানুয়ারি নজরুল সপরিবারে কৃষ্ণনগরে এসেছিলেন। তাঁর বন্ধু বিপ্লবী হেমন্তকুমার সরকার ম্যালেরিয়ায় ভগ্নস্বাস্থ্য নজরুলকে হুগলি থেকে কৃষ্ণনগরের নিয়ে এসেছিলেন। হেমন্তকুমার সরকারের পরিবারের তত্ত্বাবধানে নজরুল কৃষ্ণনগরের গোলাপট্টি অঞ্চলে কয়েক মাস থাকার পর কৃষ্ণনগরের আরেক প্রান্তে চাঁদসড়ক এলাকায় প্রায় পাঁচ বিঘা জমির উপর তৈরি গ্রেস কটেজ নামক বাগানবাড়িতে সপরিবার উঠে আসেন। প্রায় আড়াই বছর এই বাড়িটিই ছিল নজরুলের ঠিকানা।
নজরুলের কলম দিয়ে এখানেই বাংলা গজল গানের সৃষ্টি হয়েছে। রচিত হয়েছে বাংলা সাহিত্যের অনন্য সব সম্পদ। এই ভবনটি বর্তমানে হেরিটেজ ভবন হিসেবে স্বীকৃত। পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন ২০১২ সালে নজরুল-স্মৃতিধন্য এই বাড়িটিকে ঐতিহাসিক ভবনের মর্যাদা দিয়েছে। নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তীতে সুজন পাঠাগার ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্র-এর পাঠাগার ও প্রকাশনা উপসমিতির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হলো ‘গ্রেস কটেজ বুলেটিন’।
বহুপ্রতীক্ষিত ত্রৈমাসিক এই পত্রিকার প্রথম বর্ষ প্রথম সংখ্যাটি সকলের বেশ ভালো লেগেছে। গ্রেস কটেজের মুখপত্র হিসেবে এটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পাবে। সুজন পাঠাগার ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্র-এর পাঠাগার ও প্রকাশনা উপসমিতির পক্ষে সম্পদনারায়ণ ধর কর্তৃক গ্রেস কটেজ, কৃষ্ণনগর, নদিয়া থেকে এটি প্রকাশিত ও মুদ্রিত। এর সম্পাদক দীপাঞ্জন দে। সম্পাদকমণ্ডলীতে রয়েছেন রামকৃষ্ণ দে, ইনাস উদ্দীন ও রতনকুমার নাথ। আর গ্রেস কটেজ নামঙ্কনটি করেছেন অমৃতাভ দে। ষোলো পৃষ্ঠার এই বুলেটিনে নজরুল ও গ্রেস কটেজ বিষয়ক একাধিক তথ্য, প্রতিবেদন ইত্যাদি লিপিবদ্ধ হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊