‘বিজ্ঞান অন্বেষক’ পত্রিকার ২২ বর্ষে পদার্পণ
দীপাঞ্জন দে: ২৯ মার্চ, ২০২৫ (শনিবার) কলকাতার সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের অডিটরিয়ামে ‘বিজ্ঞান অন্বেষক’ পত্রিকার ২২তম বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে একটি সভা ডাকা হয়েছিল। ‘বিজ্ঞান অন্বেষক’ পত্রিকার নতুন সংখ্যাটি (বর্ষ ২২, সংখ্যা ২, মার্চ-এপ্রিল ২০২৫) এদিন প্রকাশিত হয়। ‘বিজ্ঞান অন্বেষক’-এর আহ্বানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে বিজ্ঞান ও পরিবেশকর্মীরা এদিন সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের অডিটরিয়ামে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। স্কুলের শিক্ষার্থীরাও এদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। সকাল এগারোটা থেকে শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত সভা চলে।
বিজ্ঞান অন্বেষক প্রকাশনার যে চারটি বিজ্ঞানের বই এদিন প্রকাশিত হয়, সেগুলি হলো— মানসপ্রতিম দাসের ‘বিবর্তনের ভাবনা ও চালর্স ডারউইন’, বরুণকুমার দত্তের ‘আইনস্টাইন— এক ঝলকে’, প্রণবনাথ চক্রবর্তীর ‘তারার আলো চুরি!’ এবং সুমন প্রতিহারের ‘মৃত্যু: রহস্যের গোলক ধাঁধা’। ‘বিজ্ঞান অন্বেষক’ পত্রিকার নতুন সংখ্যাটিও প্রকাশ পায়, সেই সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দীপককুমার দাঁ, অরুণাভ আদক, ‘বিজ্ঞান অন্বেষক’-এর সম্পাদক প্রবীর বসু ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যবৃন্দের মধ্যে ড. অমিতাভ চক্রবর্তী, ড. তপন দাস, অনিন্দ্য দে ও ড. দীপাঞ্জন দে, সভাপতি গোপালকৃষ্ণ গাঙ্গুলী, বিজ্ঞানকর্মী সৌমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং সভার পরিচালক জয়দেব দে।
ডা: ভবানীপ্রসাদ সাহু, দীপককুমার দাঁ এবং প্রণবনাথ চক্রবর্তী— এই তিনজনকে এদিন ‘বিজ্ঞান অন্বেষক স্মারক সম্মান ২০২৫’ প্রদান করা হয়। প্রবীণ বিজ্ঞান লেখন দীপককুমার দাঁ-র হাতে স্মারক-সম্মান ও মানপত্রটি তুলে দেন বিশিষ্ট বিজ্ঞান প্রচারক অভিজিত বর্ধন ও দীপাঞ্জন দে। কুসংস্কারবিরোধী ও যুক্তিবাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রচারক ভবানীপ্রাসাদ সাহুর হাতে স্মারক-সম্মান ও মানপত্র তুলে দেন বিজ্ঞান অন্বেষক প্রকাশনার প্রধান পরিচালক সুবিনয় পাল ও বারুইপুর গার্লস হাইস্কুলে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষিকা রিঙ্কু দাস। লেখক ও বিশিষ্ট প্রকৃতিপ্রেমী প্রণবনাথ চক্রবর্তীর হাতে স্মারক-সম্মান ও মানপত্র তুলে দেন বিজ্ঞান অন্বেষক পত্রিকার সম্পাদক প্রবীর বসু এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও অধ্যাপক গোপালকৃষ্ণ গাঙ্গুলী। ২০২৪ সালে ‘বিজ্ঞান অন্বেষক স্মারক-সম্মান’ প্রাপক সিদ্ধার্থনারায়ণ জোয়ারদার ও প্রকাশ দাস বিশ্বাসের হাতে ‘বিজ্ঞান অন্বেষক’ পত্রিকার পক্ষ থেকে স্মারক-সম্মান ও পুষ্পস্তবক তুলে দেন দীপাঞ্জন দে ও সৌমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
এদিনের সভার প্রধান দুই আলোচক ছিলেন বিজ্ঞান-লেখক মানসপ্রতিম দাস ও বিজ্ঞানের ইতিহাস নিয়ে গবেষণারত সুকল্যাণ গাইন। তাঁদের আলোচনার বিষয় ছিল যথাক্রমে ‘বিবর্তনের ভাবনা ও চার্লস ডারউইন’ এবং ‘স্বাধীন ভারতে বিজ্ঞান সংগঠনের ইতিহাস ও বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা’। এছাড়াও একাধিক বিশিষ্টজন এদিন বক্তব্য রাখেন। ‘বিজ্ঞান অন্বেষক’ পত্রিকার ২২তম বর্ষে পদার্পণের এই অনুষ্ঠান বিজ্ঞানের বই প্রকাশনার জন্যই এক ঐতিহাসিক দিন হয়ে রইল। যেখানে একই সঙ্গে বিজ্ঞান অন্বেষক পত্রিকার নতুন সংখ্যা এবং বিজ্ঞানের চারটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊