চাপে পাকিস্তান, ভারতের কড়া সিদ্ধান্তের পরই তড়িঘড়ি বৈঠকের ডাক

Pakistan under pressure, calls for urgent meeting after India's tough decision



দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর গতকাল নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিএস) বৈঠকে বেশ কিছু বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহন করেছে ভারত। এদিন ভারতের শীর্ষ কূটনীতিক বিক্রম মিস্রি নয়াদিল্লিতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত রাখা হবে।"

এদিকে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরই তড়িঘড়ি পাকিস্তান বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছে।

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন যে ভারতের কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া নির্ধারণের জন্য বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির একটি সভা ডাকা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন, যেখানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির, ফেডারেল মন্ত্রীরা এবং সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

গতকাল বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুধু সিন্ধু জল চুক্তিই স্থগীত করেনি, সাথে আরও ঘোষণা করেছে যে আত্তারি এবং ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। সার্ক ভিসা অব্যাহতির আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকরা আর ভারতে ভ্রমণ করতে পারবেন না। এমনকি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ইসলামাবাদ থেকে তাদের সকল প্রতিরক্ষা অ্যাটাশেদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। আর এরপরই চাপে পড়েছে পাকিস্তান।

প্রসঙ্গত সিন্ধু জল চুক্তি (IWT) হল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি জলবণ্টন চুক্তি, যা বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিটি উভয় দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সিন্ধু নদীর জলের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে।