আর নেই বাংলাদেশের প্রয়োজন ! অসময়ে জলের মতো সস্তা রুপালি শস্য!
অসময়ে জলের মতো সস্তা রুপালি শস্য! তাই বাঙালির পাতে এখন রোজকার পদ হিসেবে থাকতেই পারে ইলিশের হরেক রকম পদ। জলপাইগুড়ি বাজারে সস্তায় দেদার বিকোচ্ছে ইলিশ! মায়ানমার থেকে আসা মাছেই জমজমাট কেনাকাটা ভোজন রসিক বাঙালির।
বর্ষা না এলেও বাজার জুড়ে ইলিশের ঘ্রাণ ম ম করছে। বর্ষার আগে এমন ইলিশ! দামও তুলনামূলকভাবে কম! তাই জলপাইগুড়ি বাজারে এখন ইলিশ কেনার হিড়িক পড়েছে। বাজারে ঢুকলেই চোখে পড়ছে একটাই ছবি—ইলিশ হাতে নিয়ে দরদাম করছেন ক্রেতারা।
জানা যাচ্ছে, এই ইলিশ কিন্তু ডায়মন্ড হারবার বা বাংলাদেশের নয়। এসেছে মায়ানমার থেকে। বর্ষা এখনও না এলেও, তার আগেই বাজার দখল করে ফেলেছে এই বিদেশি ইলিশ। প্রতি কেজির দাম ৭০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে, গুণমান অনুযায়ী কোথাও কোথাও ১০০০ টাকাও ছুঁচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, “দাম অনেকটাই কম, স্বাদও খারাপ না। এই দামে এখন ইলিশ পাওয়াই সৌভাগ্যের বিষয়।”
অন্যদিকে, মাছ বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, এই মায়ানমারের ইলিশ এখন বাজারে ভালো চলেছে। বাংলা নববর্ষের আবহে এই মাছ ঘিরে তৈরি হয়েছে এক বিশেষ চাহিদা। যদিও মায়ানমারের ইলিশের স্বাদ ও গন্ধ নিয়ে কিছুটা দ্বিধা থাকলেও, দাম কম থাকায় আপাতত বেশ জনপ্রিয়।
বর্ষা আসার আগে বাজারে এতটা ইলিশ সচরাচর দেখা যায় না। তবে এবার সেই ট্রেন্ড ভেঙে, অনেকটাই আগেভাগে ইলিশের আমেজ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ক্রেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতা দুইয়ের মুখেই বেশ হাসি ফুটেছে। জলপাইগুড়ির বাজারে এই বিদেশি ইলিশই এখন আলোচনার কেন্দ্রে।
ইলিশপ্রেমীদের কাছে এ যেন এক অকালবোধন—স্বাদ, দাম আর চমক, সব কিছু একসঙ্গে!
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊