Big Breaking: বাতিল হয়ে গেল রাজ্যের ২৬ হাজার শিক্ষকের-শিক্ষাকর্মীর চাকরি
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দেশের শীর্ষ আদালত ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল। দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার শুনানি চলছে। শেষমেষ রায় ঘোষনা করে শীর্ষ আদালত। রায়ে আদালত এই নিয়োগের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বলেই জানায়। আর তাই পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। প্যানেলের বাতিলের সাথে সাথে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে গেল।
রাজ্যের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা বাদ যাবেন তাঁদের বেতন দিতে হবে। রায়ে বলা হয়েছে, যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি। ২০১৬ সালের এসএসসিতে যাঁরা চাকরি করছিলেন তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে জানিয়েছে, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত সকলে বেতন পাবেন।
২০১৬ সালের এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানি পর্বের পর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। শুনানির পর ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দিয়েছিল। এর ফলে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালতে শেষ হয়েছিল এই মামলার শুনানি।
শুনানির শেষ দিন পর্যবেক্ষণে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এই মামলায় আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু আসল উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার করা যায়নি, তাই কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এসএসসিকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ‘র্যাঙ্ক জাম্প’ এবং প্যানেল-বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে। কিন্তু ওএমআর শিট কারচুপির তথ্য কমিশনের কাছে নেই। সবথেকে বড় জটিলতা ছিল যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা। যা করা সম্ভব হয়নি।
এসএসসি মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জানিয়েছিল এই নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল। তাই ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের এই মামলায় হাই কোর্টের রায় বহাল থাকা উচিত। পুরো প্যানেল বাতিল হলে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারেনি আশঙ্কা করেছে রাজ্যের আইনজীবী। এই মামলায় প্রাথমিক শুননির পরে গত বছরের ৭ মে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। গত ২৭শে জানুয়ারি শুনানিতে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে কি না, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি খন্না।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊