শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসুর উপর SFI এর আক্রমণের পরেই দিনহাটায় ভাঙচুর CPIM এর ৩ পার্টি অফিস
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে আক্রমন আর এই আক্রমণের মাঝেই আহত হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। আর তাঁর প্রতিবাদেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ। দিনহাটাতেই মন্ত্রী উদয়ন গুহের নেতৃত্বে বিরাট বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন হয়। শহীদ কর্ণার থেকেই সেই মিছিল দিনহাটা শহর পরিক্রমা করে। আর এরপরেই দিনহাটার সিপিআইএম পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা। আর সেই ভাঙচুরে অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকেই।
CPIM এর দিনহাটা শাখার পক্ষ থেকে অভিযোগ - দিনহাটা মহকুমার সি পি আই (এম) এর তিনটি পার্টি অফিস, দিনহাটা শহরের প্রমোদ দাশগুপ্ত ভাবন, বামনহাট ও বাসন্তীরহাট পার্টি অফিস ভাঙচুর, লুঠ ও গোটা মহকুমা জুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে উদয়ন গুহর নেতৃত্বে তৃনমূল। ইতিমধ্যে ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চেয়ে দিনহাটা থানা, সাহেবগঞ্জ থানা ও এসডিও দিনহাটা, ডিএম কোচবিহার ও কোচবিহার এসপিকে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিআইএম। এই ঘটনায় দিনহাটা প্রমোদ দাশগুপ্ত ভাবনের চেয়ার, টেবিল, সিসিটিভি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। নথিপত্র নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কমপক্ষে দেড় লক্ষ টাকা ক্ষতির অভিযোগ তুলেছে সিপিআইএম।
এই প্রসঙ্গে দিনহাটা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব বিশু ধর সিপিআইএম পার্টি ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। পাশাপাশি তিনি মনে করেন নিজেরাই নিজেদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে সিপিআইএম। তিনি বলেন, 'আমরা মরা মানুষকে মারি না। মরা মানুষকে আর কি মারবো। একদম ঘেরা জায়গায় সিকিউর জায়গায় আমাদের ভদ্র মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির হাওয়া ছেড়ে দেওয়া হল। গাড়িতে হামলা করা হল। তারপরেও আমরা শান্ত আছি শান্ত থাকবো। আমরা সিপিএমের মতো মরা দল মরা মানুষকে মারতে যাবো না। আমরা দেখি কোথায় তাজা মানুষ পাই, স্লোগান উঠছে লড়াই লড়াই চাই লড়াই করে বাঁচতে চাই। এরপর স্লোগান হবে ধোলাই হবে পেটাই হবে। ওদের পার্টি অফিস কে ভাঙছে আমরা জানি না। মনে হয় ওরাই ভাঙছে ওঝা ডাকছে কি করে বাঁচা যায় সাপে কাটা রোগী। অচৈতন্য অবস্থায় আছে কিভাবে বাঁচা যায়। ওঝা বোধ হয় বলছে নিজের পার্টি অফিস নিজে ভাঙো, আগুন দাও। বাঁচার চেষ্টা করছে। আমরা যেদিন পেটাবো সেদিন একটা সিপিআইএম দিনহাটায় থাকবে না।'
প্রসঙ্গত তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার বৈঠক সেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেড়োনোর পথে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ব্রাত্যর গাড়ির চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভরত বাম সংগঠন ও অতিবাম সংগঠনের ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও কথা বলতে পারেননি শিক্ষামন্ত্রী। চলতে থাকে বিক্ষোভ। ওঠে ‘চোর-চোর’ এবং ‘গো ব্যাক স্লোগান’। পরে মন্ত্রীর গাড়ি এবং সঙ্গে থাকা দু’টি পাইলট কারে ভাঙচুর চালানো হয়। ভেঙে দেওয়া গাড়ির ‘লুকিং গ্লাস’ও। গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি আহত হন শিক্ষামন্ত্রী নিজেও। মন্ত্রী জানান, গাড়িতে ইট ছোড়া এবং হেনস্থার জেরে আহত হয়েছেন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তিনি যান এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊