বিপদজ্জনক অবস্থায় কিশামত দশগ্রাম স্বাস্থ্য কেন্দ্র
স্বাস্থ্যপরিসেবা তলানিতে দিনহাটা 2 নম্বর ব্লকের কিশামত দশগ্রাম স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যে সকল পরিকাঠামো থাকা দরকার তার কিছুই প্রায় নেই বললেই চলে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘরগুলিও সেকালের জীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে। যেকোনো সময় ছাদের কোন অংশ ভেঙে পড়ে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে। বেহাল স্বাস্থ্যপরিসেবার কারণেই একটা বিশাল এলাকার বাসিন্দাদের বাধ্য হয়ে চিকিৎসার জন্য দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন চিকিৎসক রয়েছেন। কিন্তু তার ওপর আরো দুটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্ব রয়েছে। একটি নাজিরহাট স্বাস্থ্য কেন্দ্র, অপরটি থরাইখানা স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ফলে সপ্তাহে নির্ধারিত দুদিন আসার সুযোগ থাকলেও কোন কোন সপ্তাহে তিনি একদিনও আসতে পারেন না। অথচ প্রতিদিন শয়ে শয়ে রোগী এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন নানা রোগ নিয়ে। সে সময় একজন মাত্র নার্সিং স্টাফ তিনি রোগী সামলান। একজন ফার্মাসিস্ট থাকলেও তার উপস্থিতিও অনিয়মিত।
এ বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা মিনতি বর্মন, বিপ্লব রায়, খগেশ্বর বর্মন প্রমুখরা বলেন, একসময় এই কিসামত দশগ্রাম স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বেশ কয়েকজন ডাক্তার ছিল, নার্স ছিল, এখানে বেশ কয়েকটি বেড ছিল। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে এখানেই চিকিৎসা হতো। বর্তমানে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবস্থা করুন। এলাকায় কোন মানুষ জটিল রোগে আক্রান্ত হলে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। ফলে রাস্তাতেই বহু রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
তারা আরও জানান- একজন চিকিৎসক সপ্তাহে মাত্র একদিন কিংবা দুদিন আসেন। আবার কোন কোন সপ্তাহে একদিনও তিনি আসতে পারেন না। ঘরগুলির অবস্থাও করুন। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।
তাদের বক্তব্য, নতুন ঘর তৈরি করে প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করাটা অত্যন্ত জরুরী।
এলাকাবাসীরা বলেন, ইতিপূর্বে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সুষ্ঠু পরিষেবা চালুর জন্য দাবী জানিয়েছিলাম কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊