চার অভিযুক্ত উপস্থিত না থাকায় হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ১৩ তৃণমূল নেতার রায়দান স্থগিত
সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:-
চার অভিযুক্ত উপস্থিত না থাকায় স্থগিত রাখা হলো রাযদান। আগামী কাল ফের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান বিচারক।আর এই জন্য জেল সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সকাল থেকে টান টান উত্তেজনা ছিলো বর্ধমান আদালত চত্বর। উপস্থিত সকলের মধ্যে কৌতুহল ছিলো কি হবে আজকের রায়দানে।কেউ কেউ বলেন কিছুই হবেনা, আজকেই জামিনে মুক্ত হবেন ২০১৭ সালের দেবু পালের উপর আক্রমণ করা অভিযুক্তরা।আবার কেউ কেউ বলেন এ আর এমনিকি, এরা তো আর খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত না,যে এদের জেল হবে। অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসাদ ঘটল প্রায় বেলা একটা নাগাদ। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস বলেন চার আসামি উপস্থিত না থাকার ফলে আজ রায় দান ঘোষণা করলেন না বর্ধমানের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোটের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র। আগামী কাল এই রায় দান হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বরে পূর্ব বর্ধমানের নাড়িগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় আহত হন তৎকালীন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য দেবু পাল। ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর দেবু পালের স্ত্রী সন্ধ্যারানি পাল বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ছিল, শাসকদলের ক্ষমতাসীন নেতারা দেবু পালকে বেধড়ক মারধর করেন। হামলায় তাঁর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খুনের চেষ্টা, মারধর-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয় বর্ধমান ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারপারসন কাকলি গুপ্ত তা-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে। এই মামলা এত দিন ধরে আদালতে বিচারাধীন ছিল। সোমবার ফাস্টট্রাক সেকেণ্ড কোর্ট বিচারক অরবিন্দ মিশ্র এই মামলায় ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং জেল হেফাজতে পাঠিয়ে মঙ্গলবার রায় দেওয়া হবে বলে জানান বিচারক। বাকি দু'জন বেকসুর খালাস হন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে কাকলি গুপ্ত তা, মানস ভট্টাচার্য, অঞ্চল সভাপতি শেখ জামাল, রায়ান ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক বাগ-সহ আরও তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা। এই রায়ে তৃণমূল শিবিরে আলোড়ন পড়ে যায়।
এর পরেই কাকুলি-সহ ১৩ জনকে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়িতেই অসুস্থতাবোধ করেন কাকুলি-সহ বাকি তিন জন। তাঁদের তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে কাকুলী গুপ্ত তা কে অনাময়ে নিয়ে যাওয়া হয়।এ ছাড়াও বাকি তিন জনকে ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান হাসপাতালে।আজ মঙ্গলবার এই মামলার রায়দানের কথা ছিলো।এই রায়দানের সময় কাকুলী গুপ্ত তা,মানষ ভট্টাচার্য,সেখ জামাল, কার্তিক বাগ।এই চারজন উপস্থিত না থাকায় আজ রায়দান স্থগিত রাখা হয়। অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস বলেন বিচারক জানিয়েছেন অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন উপস্থিত না থাকার কারনে আজ রায় ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়।আগামীকাল বাকি চারজনকে সশরীরে অথবা ভার্চুয়ালের মাধ্যমে উপস্থিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেল সুপারকে। আগামীকাল এই রায় ঘোষনা করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊