পায়রা চুরির অপবাদ দিয়ে দুই স্কুল পড়ুয়াকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর,উদ্ধার কর্তা পুলিশ,গ্রেফতার ২

Canning news


পায়রা চুরির অপবাদ দিয়ে দুই স্কুল পড়ুয়াকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো প্রতিবেশী বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে।ঘটনায় আক্রান্ত দুই ছাত্র আশাঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ঘটনার বিষয়ে আক্রান্ত দুই ছাত্রের পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।


স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে,জীবনতলা থানার অন্তর্গত বাঁশড়া পঞ্চায়েতের পিয়ালি ছাঁটুইপাড়া।পাড়ারই বাসিন্দা সঞ্জয় বেরা।তাঁর ছেলে সৌমদীপ বেরা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র।শনিবার বিকালে টিউশন পড়তে গিয়েছিল।সন্ধ্যার সময় বাড়িতে ফিরছিল সৌমদীপ ও তার বন্ধু সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র রুপম মন্ডল।সেই সময় ওই দুই ছাত্র রাস্তায় পায়রা দেখে।দুজনে পায়রা ধরার চেষ্টা করে।পায়রা ধরতে না পেরে বাড়িতে চলে যায় তারা।এরপর সন্ধ্যা নাগাদ ওই দুই ছাত্রের বাড়িতে চড়াও হয় প্রতিবেশী জয়ন্ত খাটুয়া ও তার ছেলে সায়ন খাটুয়া।


দুই ছাত্রকে পায়রা চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।অভিযোগ একটি নারকেল গাছে দুই ছাত্রকে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে বাবা ও ছেলে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘুঁটিয়ারী শরীফ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজীর হয়। আক্রান্ত দুই ছাত্রকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে স্থানীয় ঘুটিয়ারী শরীফ ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ওই দুই ছাত্রের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রবিবার তাদের কে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা।বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আক্রান্ত ওই দুই ছাত্র।ঘটনার বিষয়ে দুই ছাত্রের পরিবার ঘুটিয়ারী শরীফ ফাঁড়ির পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। 



অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত বাবা ও ছেলে কে গ্রেফতার করেছে।ঘটনা প্রসঙ্গে এক ছাত্রের বাবা সঞ্জয় বেরা জানিয়েছেন,আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। আমার ছেলে ও তার বন্ধুকে পায়রা চুরির অপবাদ দিয়ে নারকেল গাছে বেঁধে পেয়ারা গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।ফাঁড়ির পুলিশ জানতে পেরে তাদের কে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য ঘুঁটিয়ারী শরীফ ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমরা খবর পেয়ে হাজীর হই।অভিযুক্ত বাবা ও ছেলের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’