পুজো মণ্ডপ থেকে উধাও মা সরস্বতীর মূর্তি, আজব ঘটনা শহর শিলিগুড়িতে!

পুজো মণ্ডপ থেকে উধাও মা সরস্বতীর মূর্তি, আজব ঘটনা শহর শিলিগুড়িতে!


শিলিগুড়ি : সরস্বতী পূজার দিনে ঘটলো শহর শিলিগুড়িতে এক আজব ঘটনা। পুজো মণ্ডপ থেকে হঠাৎই উধাও হয়ে গেল মা সরস্বতীর মূর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ডাবগ্রাম দুই অঞ্চলের আশিঘর মাঝাবাড়ি এলাকায়। এই ঘটনায় রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছে স্থানীয়দের।

জানা যায়, মাঝাবাড়ি এলাকায় স্থানীয় মহিলা ও বাচ্চাদের প্রয়াসে এবছর সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়। ঠিক সেই মতো গতকালই সব জোগারযন্ত্র কোরে বেলা বারোটার পর থেকেই তিথি থাকায় সরস্বতী পুজো সেরে ফেলা হয় এলাকাবাসীদের তরফে। এবং রাতে নাচ গানের আয়োজন করা হয়। ঠিক সেই সময় ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ রাতে নাচ গান চলাকালীন ওই এলাকারই কিছু যুবক মন্ডপের পাশে এক ফাঁকা জায়গায় বসে মদ্যপান করতে থাকে এবং এলাকাবাসীদের তরফে তাদের বাধা দেওয়ায় শুরু হয় বচসা। এই বচসাই গড়িয়ে যায় অনেক দূর।

এলাকাবাসীদের অভিযোগ মদ্যপ অবস্থায় থাকা যুবকরা তাদের বাঁধায় কোন কর্ণপাতই করেনি বরং গালিগালাজ শুরু করে দেয় সেই যুবকরা। পরে মন্ডপের লাইটিং থেকে শুরু করে মন্ডপে চারিপাশে সাজানো সমস্ত কিছুই ওলট-পালট করতে শুরু করে সেই মদ্যপ যুবকেরা। এবং তাদের বাধা দিতে গেলে স্থানীয়দের ধমকি দেয় সেই যুবকরা। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও যুবকদের সেখান থেকে চলে যেতে অনুরোধ করে এলাকাবাসীরা, কিন্তু সেই কথা তো কর্নপাত না করে মণ্ডপের পাশেই একটি বাড়ি তে পাথর মেরে জানালার কাচ ভেঙে দেয় এবং এলাকাবাসীদের চোখের সামনেই মন্ডপ থেকে সরস্বতী প্রতিমা উঠিয়ে নিয়ে চলে যায় সেই মদ্যপ যুবকেরা।

পরে এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যায় স্থানীয়রা এবং সেই মদ্যপ যুবকদের মধ্যেই মূল পান্ডা অমর দাসের বাড়ি যায় স্থানীয়রা, সেখানে গিয়েই চোখ কপালে ওঠে স্থানীয়দের। তারা দেখতে পায় সরস্বতীর প্রতিমা ভেঙে ফেলেছে সেই মদ্যপ যুবক, হাত পা ভাঙ্গা পড়ে রয়েছে মাটিতে, সরস্বতীর প্রতিমার মুখো বিকৃতি করে রেখেছে সেই মদ্যপযুবক।

সোমবার সকালে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয় আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আশিঘর ফাঁড়ির বিরাট পুলিশ বাহিনী ও ডাবগ্রাম ২ নম্বর অঞ্চলের প্রধান মিতালী মালাকর।

ইতিমধ্যেই এই পুরো ঘটনার বিষয় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয় এলাকাবাসীরা। অপরদিকে এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান মিতালী মালাকার। তার অভিযোগ এ বাংলা ক্রমশ বাংলাদেশ হয়ে যাচ্ছে, তাই এরূপ দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে এই বিষয় পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ। এখন পুলিশে আস্থা এলাকার মানুষের।