গ্রেটার কোচবিহারের দাবিতে রেল অবরোধ তুলে নিলো GCPA, বাতিল একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন

rail roko



বুধবার সকাল থেকে কোচবিহারের জোড়াই রেল স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন এর কর্মী সমর্থকরা। যার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে।

কোচবিহারকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আগেই এই রেল অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। এদিন সংগঠনের তরফে প্রথমত জানানো হয়, তাদের দাবি সম্পর্কে ভারত সরকার যতক্ষণ না কোনও সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে ততক্ষণ এই রেল অবরোধ চলবে।

অবরোধের জেরে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে বুধবার সকাল থেকে উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার রেল যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। বাতিল করা হয়েছে এনজিপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত আপ-ডাউন-সহ দুরপাল্লার কয়েকটি ট্রেন। রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ কয়েকটি ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। অন্যদিকে ঘন কুয়াশার কারণে আগে থেকেই কয়েকটি ট্রেন বাতিল করার কথা আগেই জানিয়েছিল রেল। সবমিলিয়ে অবরোধের জেরে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার রেল যোগাযোগ।

গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বংশীবদন বর্মন বলেন, "১৯৪৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভারত ভুক্তি চুক্তিতে যা বলা হয়েছিল, তা রক্ষা করেনি ভারত সরকার। সংবিধান অনুযায়ী কোচবিহার 'গ' ক্যাটাগরির রাজ্য। কিন্তু কেন্দ্র এখনও তার মান্যতা দিচ্ছে না। তাই কোচবিহারকে আলাদা রাজ্যের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রেল অবরোধ চলবে।"

বাংলা ও অসমের একেবারে সীমানায় অবস্থিত এই জোড়াই স্টেশন। ফলে রেল অবরোধের জেরে বাংলার সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারতের রেল যোগাযোগ পুরোপুরি থমকে যায়। অবরোধ স্থলে পৌঁছায় রেল ও জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তবে কেন্দ্র আলোচনার টেবিলে না বসা পর্যন্ত অবরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেও আন্দোলনকারীরা প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর দুপুর বারোটা নাগাদ রেল অবরোধ তুলে নেয়। এই বিষয়ে কি জানালেন বংশীবদন বর্মন ও রেলের এক কর্তা শুনুন..