Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন কবে? বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন কবে? বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Mamata Banerjee


দিঘা সৈকতের কাছাকাছি ২০ একর জমির উপর নির্মিত হচ্ছে বিশালাকার জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে তার কাজ খতিয়ে দেখতে আজ নিজেই সেখানে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই তিনি ঘোষণা দিলেন অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উদ্বোধন হবে এই মন্দিরের। পশ্চিমবঙ্গ হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন দ্বারা নির্মিত এই মন্দির শতাব্দী প্রাচীন পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের অনুরুপ। দিঘা সফরে এসে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানালেন, 'পুরীর সঙ্গে আমরা নিশ্চয় তুলনা করব না। কারণ ওদেরটা ওদের মতো। আমাদেরটা আমাদের মত। ওদেরটা রাজ-রাজারা করেছেন দীর্ঘদিন আগে। আমাদেরটা আমরা সরকারের তরফ থেকে করছি।জায়গাটা এখানে অনেক বেশি আছে এখানে। প্রায় ২০ একর জমি আছে। ২০ একর জায়গায় তৈরি হচ্ছে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির।'

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পুরীতে যেমন খাজা পাওয়া যায়, এখানে তেমনি প্যাঁড়া, গজা, গুজিয়া পাওয়া যাবে। এরপর তিনি ঘোষনা দেন, "আগামী ৩০ এপ্রিল, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উদ্বোধন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। মন্দিরের প্রবেশদ্বারে থাকবে চৈতন্যদেবের মূর্তি। উদ্বোধনের ৪৮ ঘণ্টা আগে শুরু হবে পুজো। জগন্নাথ দেবের কাঠ ও পাথরের ২ মূর্তিই থাকবে। উদ্বোধনের দিন কিছু বিশিষ্ট মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।"




তিনি আরোও জানান, সোজা রথের দিন আমি দিঘায় আসব। মন্দিরের আশপাশে সনাতন ধর্মের লোকজন ব্যবসা করবেন। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডে থাকবে ইসকন। ২৫০ কোটি টাকায় দিঘায় তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির।'

মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী দিনে সারা ভারতের পর্যটক এবং ভক্তদের আলাদা করে নজর কাড়বে পুরীর আদলে তৈরি এই মন্দির। তাঁর কথায়, ‘‘ওটা রাজাদের সময়কার। এটা সরকার করেছে। ভোগঘর, স্টোর রুম, গেস্ট রুম আলাদা আছে। সেল্ফ হেল্প গ্রুপের মেয়েদের ব্যবসা করার জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’

২০১৯ সালে দিঘায় পুরীর মন্দিরের আদলে জগন্নাথ মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কোভিড পর্ব কাটিয়ে ২০২২ সালের মে মাসে মন্দির তৈরির কাজ শুরু করে হিডকো। মন্দির পরিচালনার জন্য ১৩ জন সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ড (অছি পরিষদ) তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে থাকছেন পুরীর মন্দিরের পাঁচ জন, সনাতনী প্রতিনিধি হিসাবে চার জন এবং চার জন স্থানীয় পুরোহিত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ট্রাস্টির নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্যসচিব। সদস্যদের মধ্যে থাকছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, ইসকন ও সনাতন ধর্মের প্রতিনিধি এবং দিঘার জগন্নাথের মন্দিরে যিনি পুজো করেন, তিনি। এক জন এডিএম (অতিরিক্ত জেলাশাসক) এই মন্দির-সহ পর্যটন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন।’’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code