রাজ্য তথা দেশেও হয়তো প্রথম অনুষ্ঠিত হলো এমন বোনফোঁটা সাথে তিথী ভোজ
প্রতি শনিবার বিদ্যালয়ে আনন্দ পরিসরে শিশুদের নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ, গান, আবৃত্তি ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আজকের শনিবারটা শিশুদের জন্য ছিল চমক। মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা চক্রের প্রত্যন্ত এলাকার ৩০ নং আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত ও সহশিক্ষকদের আন্তরিকতা ও ভালোবাসায় রাজ্য তথা দেশেও হয়তো প্রথম অনুষ্ঠিত হলো বোনফোঁটা সাথে তিথী ভোজ।
চমকে গেলেন হ্যাঁ চমকে যাবার মতই অভিনব কর্মযজ্ঞ। কালীপূজার দুদিন পরেই ভাইফোঁটা হয়ে থাকে কিন্তু বোনফোঁটা সেটা আবার কী? হুবহু ভাইফোঁটার মতই আয়োজন কিন্তু এখানে ভাই এর জায়গায় বোন বসে ফোঁটা নিলে ভাই কাছ থেকে। পরিয়ে দিল সুরক্ষার জন্য লালকার,কপালে চন্দন ফোঁটা পরিয়ে দিতে দিতে উচ্চারিত হলো বোনের কপালে দিলাম ফোঁটা যমের দূয়ারে পরলো কাঁটা। যম দেয় যমুনাকে ফোঁটা আমি দিই আমার বোনকে ফোঁটা।
মাথায় তেল দিয়ে চিরনি দিয়ে আঁচরিয়ে দিতে ভুল হলো না কারও। শেষে দিদি ও দাদার প্রণাম পর্ব। সাথে মিষ্টি মুখ। থালা ভর্তি বিভিন্ন মিষ্টান্ন শিশুদের আকর্ষনের বিষয়ছিল। এর সাথে অনুষ্ঠিত হলো যাদের ভাই বা বোনের অভাবে ফোঁটা হয়নি তাদের ভাইফোঁটা।
এক নৈসর্গিক পরিবেশে অভিনব বন্ধন গড়ে উঠলো। একটি প্রকৃত শিশুবান্ধব বিদ্যালয়ে শিশুদের নিয়ে প্রতিটি দিনই নিত্য নতুন কর্মসূচি নিয়ে প্রকৃত মানুষ তৈরী করতে মত্ত শিক্ষকগন। আর আলোর দিশারী প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks