তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা ঢোকেনি অনেক ছাত্রের অ্যাকাউন্টে, বড় নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পের টাকা ছাত্রদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে না গিয়ে অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। এই নিয়ে প্রায় প্রতি জেলা থেকেই কমবেশি অভিযোগ উঠতে শুরু হয়েছে। খবর পৌঁছে গেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। ইতিমধ্যে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আর এরপরই নড়েচড়ে বসেছে শিক্ষা দপ্তর।
তবে 'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পের টাকা যে সমস্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়নি সেখানে আঙুল উঠতে শুরু করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের উপর। এই নিয়ে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে গত ৬ নভেম্বর স্কুল শিক্ষা দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়, যেখানে বলা হয়- "বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীর টাকা তাদের নির্দিশট অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট না হয়ে অন্য অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়েছে। এক্ষেত্রে পুরো দায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের অভিযুক্ত করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি, এবং কেন এই ধরণের ঘটনা ঘটল তা সঠিক ভাবে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য দাবী জানাচ্ছি।"
এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে সবথেকে বেশি সমস্যা তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলায়। এই দুই জেলাতেই সবথেকে বেশি অ্যাকাউন্ট নাম্বারের পরিবর্তন হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিস উত্তর দিনাজপুরের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। সেখানে কয়েকটি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে তারা কথাও বলেছে। পূর্ব বর্ধমানের পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমানেও তিনটি স্কুলের পড়ুয়াদের টাকা কারচুপি হয়েছে বলে খবর। দু’টি স্কুলের ক্ষেত্রেই টাকা গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের অন্য অ্যাকাউন্টে।
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষা দপ্তরের সচিবকে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পটি রাজ্য সরকারের অন্যতম সেরা প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। এইক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি বরদাস্ত করা হবে না। সবাইকে আরও সতর্ক থাকতে হবে ভবিষ্যতে অর্থ বণ্টনের ক্ষেত্রে।
এদিকে হ্যাকের ফলে যাদের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে, তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অবিলম্বে টাকা পাঠানোর নির্দেশও মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊