দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন স্কুলের ট্যাব দুর্নীতি, আতঙ্কে ছাত্র ছাত্রী থেকে শিক্ষক

Tab Scam


পূর্ব মেদিনীপুরের পর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন স্কুলেও দেখা গেল ট্যাব দুর্নীতি। সমস্ত কাগজপত্র জমা দেয়া পরেও তাদের অ্যাকাউন্টের টাকা চলে গেছে অন্য কোন একাউন্টে যাকে কেন্দ্র করে এখন দুশ্চিন্তার মধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীরা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর, কুলপি , ফলতা, মগরাহাট পূর্ব সহ বিভিন্ন এলাকার স্কুলগুলিতে দেখা গেল এই ভাবেই একাধিক ছাত্র-ছাত্রী একাউন্টের টাকা চলে গেছে অন্য একাউন্টে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের মহেন্দ্রগঞ্জ হাইস্কুলে ৩১ জন ছাত্রের টাকা চলে গেছে অন্য অ্যাকাউন্টে রং ক্রেডিট হয়েছে যার ফলেই এই বিষয় নিয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে সাগর থানায় এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে আবার কুলপি বিধানসভার মদনমোহন পুর রামচন্দ্র মহাবিদ্যালয় এর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা 45 জন তার মধ্যে ১৫ টাকা পায়নি যার মধ্যে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীর এই ভাবেই টাকা চলে গেছে অন্য একাউন্টে। তবে এই বিষয় নিয়েও মদনমোহনপুর রামচন্দ্র সরদার বিদ্যামন্দির এর প্রধান শিক্ষক ইতিমধ্যেই কুলপি থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ডি আই এর কাছে ও এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে।

অন্যদিকে ফলতা বিধানসভার রামগড় হাট হাইস্কুলেও এই ভাবেই বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীর ট্যাবের টাকা চলে গেছে অন্য অ্যাকাউন্টে।

অন্যদিকে কুলপির রামকিশোরপুর রাধানগর হাই স্কুলের একটি মাত্র ছাত্র এই ট্যাবের টাকা না পাওয়াতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানায় তখন দেখা যায় ভুল ইনফরমেশন এর কারণে তার টাকাটি ফেল্ড হয়েছে কিন্তু রং ক্রেডিট হয়নি। অথচ তার নাম উঠে আছে এই রং ক্রেডিট লিস্টে। এ বিষয় নিয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানায় বিষয়টি আমরা ডিআইকে জানিয়েছি তিনি এর ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

তবে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিয়াই নজরুল হক সিপাই বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা শাসকের সাথে কথা হয়েছে বলেও জানায়।

তবে এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে ছাত্রদের ট্যাবের টাকা আদৌ কি এই টাকা গুলি আর তারা ফেরত পাবে।